AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kumartuli: সিসা দেওয়া রঙে চরম বিপদ! পুজোর একশোদিন বাকি থাকতেই হাওয়া বদলাচ্ছে কুমোরটুলিতে

Kumartuli: ইতিমধ্যেই সিসা দেওযা রং ব্যবহার করতে গিয়ে অসুস্থও হয়েছেন অনেক মৃৎশিল্পী। বেড়েছে উদ্বেগ। তাই সিসা মুক্ত রং ব্যবহার নিয়ে প্রচার চলছে অনেকদিন থেকেই। কিন্তু, এখন সিসা ছাড়া রং ব্যবহার করলে প্রতিমার দামও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Kumartuli: সিসা দেওয়া রঙে চরম বিপদ! পুজোর একশোদিন বাকি থাকতেই হাওয়া বদলাচ্ছে কুমোরটুলিতে
কী বলছেন মৃৎশিল্পীরা? Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2024 | 2:39 PM
Share

কলকাতা: পুজোর বাকি আর ১০০ দিন। কুমোরটুলিতেও প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে। তবে এরই মধ্যে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে অনেক প্রতিমা। বায়না দিতে শুরু করেছেন বড় বড় পুজো উদ্যোক্তারাও। বাড়ির পুজোগুলির জন্য আসছে বায়না। এরইমধ্যে এক অভিনব প্রয়াস দেখা যাচ্ছে কুমোরটুলিতে। পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে গঙ্গা দূষণ বাঁচাতে এবং মৃৎশিল্পীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেক প্রতিমাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে সিসামুক্ত রং।

কিন্তু, সিসামুক্ত রং অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। তাই খরচের কথা ভাবাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। ২০২৪ সালের প্রথমেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গঙ্গা দূষণ মুক্ত কমিটি সীসা রং ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেছে। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে সিসামুক্ত রঙের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন মৃৎশিল্পীরা। তাঁরা বলছেন, এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হলে তাঁরা উপকৃত হবেন। একইসঙ্গে বড় বড় পুজো উদ্যোক্তারাও যদি মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে সচেষ্ট হন, প্রতিমার দামের দিকটা ভেবে দেখেন তাহলেও কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

এদিকে ইতিমধ্যেই সিসা দেওযা রং ব্যবহার করতে গিয়ে অসুস্থও হয়েছেন অনেক মৃৎশিল্পী। বেড়েছে উদ্বেগ। তাই সিসা মুক্ত রং ব্যবহার নিয়ে প্রচার চলছে অনেকদিন থেকেই। কিন্তু, এখন সিসা ছাড়া রং ব্যবহার করলে প্রতিমার দামও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিনের শেষে সেই প্রতিমা বিক্রি হবে তো? চিন্তা বাড়ছে মৃৎশিল্পীদের মনে। মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল বলছেন, “সিসামুক্ত রং ব্যবহারের চেষ্টা তো আমরা অনেকদিন থেকেই করছি। অনেকই ফাউন্ডেশনও ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা এসে আমাদের বোঝাচ্ছেন সিসাযুক্ত রঙের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। আমরাও চাইছি সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক। পুজোর আর একশোদিন বাকি। দেখা যাক এবারে কতটা এই লেড-ফ্রি রং লাগাতে পারি। আপাতত ৫০ শতাংশ প্রতিমাতেই লাগানো সম্ভব হচ্ছে। আগামীতে সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে মনে করি।”