মেয়ের ফোন পেয়ে জামাইয়ের কারখানায় যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন! উঁকি মারতেই হাড় হিম করা দৃশ্য…

Behala Murder: তপনবাবুর শ্যালকের স্ত্রীর কথায়, যেহেতু  উনি একাই কাজ করতেন তাই কাউকে এই মুহূর্তে সন্দেহের তালিকায় আনা যাচ্ছে না।

মেয়ের ফোন পেয়ে জামাইয়ের কারখানায় যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন! উঁকি মারতেই হাড় হিম করা দৃশ্য...
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2021 | 7:58 AM

কলকাতা: গলার নলি কেটে মা-ছেলেকে খুনের এখনও কিনারা মেলেনি। এরই মধ্যে আবারও গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল বেহালায়। পর্ণশ্রীর পর এবার ঘটনাস্থল হরিদেবপুর। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পঞ্চান্ন বছর বয়সী এক প্রৌঢ়কে একটি কারখানা থেকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম তপন দে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুর থানার চক রামনগরে তপন দে নামে ওই প্রৌঢ়ের একটি লেদ মেশিনের কারখানা রয়েছে। বহু রাত অবধি তিনি সেখানে একাই থাকেন। কাজ করেন। কোনও কোনও দিন বাড়ি ফিরতে অনেকটাই রাত হয়ে যায়। তবে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টা বেজে গেলেও তপনবাবুর কোনও খবর পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকেরা। এত রাতে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করেন। জানা গিয়েছে, তপন দে’র শ্বশুরবাড়ি আর কারখানা একই এলাকায়।

এদিকে মেয়ের ফোন পেয়ে ছুটে যায় মেয়ের বাড়ির লোকজন। কারখানার ভিতর ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছেন জামাই। রক্তে ভেসে যাচ্ছে সারা ঘর। গলার নলি কাটা অবস্থায় দেহটি পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। ছুটে আসেন এলাকার লোকজনও। খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। একই সঙ্গে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্নিফার ডগ এনে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত।

তপনবাবুর শ্যালকের স্ত্রী জানান, “ননদ ফোন করেছিল রাতে। বলল, এখনও স্বামী বাড়িতে আসেনি, একটু দেখো তো কেন এতটা দেরি হচ্ছে। পাশেই যেহেতু কারখানা। তাই আমার দোতলা দিয়েই উঁকি মেরে দেখে বলি এখনও রয়েছে ভিতরে। আলোও জ্বলছে। তার পর আমার স্বামী রাত ১১টা ১৫ নাগাদ কাজ থেকে ফেরার পর বললাম চলো তো দেখি ও এত রাত অবধি কী কাজ করছে। বাড়ি থেকে বার বার ফোন করছে, কেন এতটা রাত করছে দেখে আসি। গিয়ে দেখি ঘরের দরজা এমনি ভেজানো। ফ্যান চলছে, লাইট জ্বলছে অথচ ওকে কোথাও দেখছি না। খানিক এদিক ওদিক দেখার পর ওই ঘরের ভিতরে আরও একটা ছোট ঘর ছিল সেখানে উঁকি মারতেই দেখি মুখটা সামনের দিকে নিচু করে পড়ে রয়েছে। আমি তো দরজাটা জোরে ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখি চারদিকে শুধু রক্ত। গলা কাটা অবস্থায় পড়ে ছিল।”

তপনবাবুর শ্যালকের স্ত্রীর কথায়, যেহেতু  উনি একাই কাজ করতেন তাই কাউকে এই মুহূর্তে সন্দেহের তালিকায় আনা যাচ্ছে না। খুবই কম কথার মানুষ। মেশিনের যা কিছু কাজ উনি একা হাতেই সামলাতেন। কোনও কর্মীও ছিল না। তাই কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে তা নিয়ে পরিবারের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

আরও পড়ুন: বিষের দামই ১৩ কোটি! বাংলা থেকে গন্তব্য চিন… তদন্তে চোখ ছানাবড়া বনকর্মীদের