কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে না প্রাপ্য টাকা। এই দাবি নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুকে সামনে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বারবার নিশানা করছে ঘাসফুল নেতৃত্ব। কিন্তু কেন্দ্র থেকে যে কোটি কোটি টাকা আসছে, সেই টাকা পড়ে আছে কেন? হিসেব মতো অর্থবর্ষ শেষ হতে আর মাত্র তিন মাস বাকি, অথচ জেলায় জেলায় পড়ে আছে কেন্দ্রের দেওয়া বিপুল অঙ্কের টাকা। উন্নয়নের কাজে কেন সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য দেখা গিয়েছে, খরচের তালিকায় সবথেকে নীচে আছে মুর্শিদাবাদ।
বছর শেষে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের প্রকাশ হওয়া সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই পড়ে রয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পড়ে রয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা। নদিয়া ও মালদহে পড়ে রয়েছে ১৭০ কোটি টাকা। পুরুলিয়ায় ১৩০ কোটি টাকা, বীরভূমে ১২৭ কোটি টাকা পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, যে জেলা এই তালিকায় সবার ওপরে আছে, সেই উত্তর দিনাজপুরে এখনও পড়ে রয়েছে ১৪৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন দফায় দফায় টাকা দিয়েছে রাজ্যকে। পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের আওতায় গত অগস্ট মাসে দু দফায় প্রায় ১৬৪৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। এক দফায় এসেছিল ৯৯৬ কোটি টাকা ও আর এক দফায় ৬৫১ কোটি টাকা। মূলত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্যই এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। টাকা খরচ করে পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ।
বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, মাত্র তিন মাসে এত কোটি টাকা কি খরচ করা সম্ভব হবে? এভাবে মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে সিপিএম নেতৃত্ব।