
গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ। রাস্তার একটি বিড়ি-সিগারেটের দোকান থেকে একটি ঠাণ্ডা পানীয় দিয়ে গলা না ভেজালেই নয়। সঙ্গে থাকা জলের বোতলের জলও শেষ। ভ্যাপসা গরম, ভেজা আবহাওয়ায় শরীরটা যেন পাকিয়ে এল তুষারের। পেশায় সেলসম্যান। টার্গেটে পৌঁছাতে মাসের শেষে নিজের কাজ সারতে হবে এই সপ্তাহেই। তাই হেঁটে- বাসে চড়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছে নিজের উপস্থিতি জাহির করতে নাজেহাল অবস্থা তাঁর। দোকানের শীর্ণকায় একট নিরিহ গোচের দোকানদারকে শান্ত গলায় জিজ্ঞাসা করল, ‘কোনও ঠাণ্ডা কিছু আছে? সাদা বা কালো, যে কোনও একটি দাও। অসম্ভব গরম।’ ঘোলাটে, ঘুম ঘুম চোখে দোকানদার একটু ইতস্তত সুরে বলল, ‘ঠাণ্ডা নেই কিছু। বরফ নেই। জল আছে। নরম্যাল। চলবে?’ দোকানের একপ্রান্তে থাকা বেঞ্চে সবে পিঠের ব্যাগটি রেখে একটু স্বস্তির শ্বাস ফেলতে গিয়েছিল। নির্জীব দোকানদারের উত্তরে মনটা ভেঙে গেল যেন।’ ঠাণ্ডা নেই মানে? এই গরমে ঠাণ্ডা জল বা কোনও কোল্ড ড্রিঙ্কস নেই!দ্যাখো না কিছু পাও কিনা। অল্প ঠাণ্ডা হলেও চলবে’। ঝিমিয়ে থাকা চোখ-মুখে ভাবলেশহীনভাবে দোকানদার উত্তর দিল, ‘না গো বাবু, কোনও...