কলকাতা : কুন্তল ঘোষের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। তারপর থেকেই বর্তমানে বাংলার অন্যতম প্রধান চর্চিত চরিত্র গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati News)। এই গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নামে নাকি ৬৫টি দলিল নথিভুক্ত রয়েছে। এই নথির খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই তা নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে নানা মহলে। কোথা থেকে এল গোপালের এই পাহাড়প্রমাণ সম্পত্তি? কী বলছেন খোদ গোপাল দলপতি?
পানের দোকান থেকে গৃহশিক্ষক। তারপর চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতেও উঠে এসেছে তাঁর নাম। সেই গোপালের নামে ৬৫টি দলিল নথিভুক্ত। তাতেই দেখা যাচ্ছে কোথাও ঠিকানা দেওয়া রয়েছে দমদম মন্দির রোড, কোথাও আবার সরকারি রেজিস্ট্রি দফতরের নথিতে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপূত্র। জমির কারবারে কখনও গোপাল দলপতি পরিচয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন, কখনও আবার গোপাল আর দলপতির মাঝে চন্দ্র জুড়ে সরকারি নথিতে হয়ে উঠেছেন গোপাল চন্দ্র দলপতি। কোথাও আবার আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নামে নথিভুক্ত। বাবার নামও রামকৃষ্ণ দলপতি থেকে হয়েছেন রামপদ দলপতি। দশ বছরে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির নানা জায়গায় ৬৫টি জমি বিক্রির নথিতে গোপাল দলপতির নাম বিক্রেতা হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে। সেসব জমির মূল্য কোটি কোটি টাকা।
এই নথি থেকেই জানা যাচ্ছে ২০১১ সালে কিসমত বাজকূল মৌজায় একটি জমি বিক্রি হয়েছে। ডিড নম্বর ০৫৮২২। ২০১২ সালে মোট জমি বিক্রি ১৯টি। ২০১৩ সালে জনাই, দেউলবাড় মৌজায় ১৫টি জমি বিক্রি। ২০১৪ সালে চামরাইল মৌজায় ২টি জমি বিক্রি। ২০১৬ সালে দেবীপাড়া মৌজায় জমি বিক্রি হয়েছে ৫টি। ডিড নম্বর ০৩৬৬৩। ২০১৭ সালে দেবীপাড়া, জনাই মৌজায় মোট জমি বিক্রি ১২টি। ১৮ সালে দেবী পাড়ায় মোট জমি বিক্রি ৯টি। ২০১৯ সালেই এখানে বিক্রি ৫টি জমি। ২০২০ সালে জগাছা মৌজায় ৮৭ লক্ষ টাকার জমি মাকে দান। ডিড নম্বর ০২৬১০। এখন প্রশ্ন হল এই সকল জমির মালিকানা হিসাবে কীভাবে তাঁর নাম এল? তিনি কী এ ক্ষেত্রেও মিডলম্যান? নাকি তিনিই মালিক? এ প্রসঙ্গে কী বলছেন গোপাল দলপতি? তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “কারও সম্পত্তি থাকা কী অন্যায়? আমার ৬৫টির বেশি ডিড থাকতে পারে। ১ কোটি কেন ২৫ লক্ষ কোটি টাকা থাকতে পারে। কিন্তু, দেখতে হবে কোন পথে সেই টাকা এসেছে। আমার এই টাকা সৎ পথে এসেছে কিনা তদন্ত করলেই দেখা যাবে।”