Kolkata Shootout Incident: সম্পর্কের টানাপোড়েন, ‘বদলা নিতে’ মহিলার পিঠে গুলি! হরিদেবপুর-কাণ্ডে গ্রেফতার দুই
Haridevpur Shootout: কিন্তু কেনই বা শুটআউটের ঘটনায় নাম জড়াল তাঁর? গোটা ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ১২৩ নং কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোডে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। আক্রান্তের নাম মৌসুমী হালদার। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন সকাল ৬টা। গুলির শব্দ ও মহিলার আর্তনাদে কেঁপে ওঠে গোটা পাড়া।

কলকাতা: বন্ধুত্ব বজায় রাখতে গিয়ে হাজত বাস? সোমবার সাতসকালে ঘটা হরিদেবপুর গুলি-কাণ্ডে উঠে আসছে তেমনই তথ্য। এদিন রাতে অভিযুক্ত শুটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাম বাপ্পা দাস। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জে অম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থাকতেন বাপ্পা। সোমবার রাতে সেখানেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শুটারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে হরিদেবপুর-কাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
কিন্তু কেনই বা শুটআউটের ঘটনায় নাম জড়াল তাঁর? গোটা ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ১২৩ নং কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোডে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। আক্রান্তের নাম মৌসুমী হালদার। যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন সকাল ৬টা। গুলির শব্দ ও মহিলার আর্তনাদে কেঁপে ওঠে গোটা পাড়া। তড়িঘড়ি ছুটে যান প্রতিবেশীরা। ছুটে যায় ওই মহিলার ছেলেও। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। পিঠে গুলি লাগে তাঁর। প্রথমে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে সরাসরি নিয়ে এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে।
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত বাবলু ঘোষকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্ত মহিলার পূর্বপরিচিত। দীর্ঘকালের সম্পর্ক তাঁদের। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে সেই সম্পর্কে ধরেছে ফাটল। কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই প্রতিশোধস্পৃহাতেই গুলি চালানোর ছক কষেন বাবলু। অবশ্য, তিনি নিজের হাতে গুলি চালাননি। সাহায্য় নিয়েছিলেন বন্ধু বাপ্পা ঘোষের। সোমবার রাতে তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত বাপ্পা ঘোষ জানিয়েছেন, বাবলুর কথাতেই এই কাজ করেছে সে।
