AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভেবেছিলাম ইয়ার্কি মারছে, হঠ্ করে পকেট থেকে ছুরি বার করে সৌম্যর পেটে ঢুকিয়ে দিল ও…’

Haridevpur: তদন্তে জানা গিয়েছে, সৌম্যদীপ সমাদ্দার ও অয়ন ভট্টাচার্য দীর্ঘদিনের বন্ধু।

'ভেবেছিলাম ইয়ার্কি মারছে, হঠ্ করে পকেট থেকে ছুরি বার করে সৌম্যর পেটে ঢুকিয়ে দিল ও...'
ডান দিকে- আক্রান্ত যুবক
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2021 | 8:43 AM
Share

কলকাতা: নেশার ঠেকে বচসা। আর তার জেরে বন্ধুর হাতে ছুরিকাহত যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানার অন্তর্গত কালিপদ মুখার্জী রোডে। আহত যুবক সৌম্যদীপ সমাদ্দার আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

তদন্তে জানা গিয়েছে, সৌম্যদীপ সমাদ্দার ও অয়ন ভট্টাচার্য দীর্ঘদিনের বন্ধু। ঘনিষ্ঠ বন্ধু সূত্রেই জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে এর আগে মাঝেমধ্যে বচসা হত। তবে তা মিটেও যেত। বন্ধুত্বে সে অর্থে চিড় ধরেনি কখনই। তবে দুজনেই নেশা করতেন মাঝেমধ্যেই। এক সঙ্গে ঠেকে বসে নেশা করতেন তাঁরা। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াতও ছিল।

সোমবার সন্ধ্যায় কালিপদ মুখার্জি রোডের একটি গুমটি দোকানের পাশে চার-পাঁচ বন্ধু মিলে বসে নেশা করছিলেন। প্রত্যেকেই মত্ত ছিলেন। সে সময়ে কিছু একটা বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌম্যদীপ ও অয়ন। কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতিতে।

প্রথমে বিষয়টায় বিশেষ আমল দেননি বাকি বন্ধুরা। ভেবেছিলেন, মজার ছলেই হচ্ছে ব্যাপারটা, মিটে যাবে। কিন্তু হাতাহাতির মধ্যেই আচমকা অয়ন পকেট থেকে ছুরি বার করে ফেলেন। সৌম্যদীপকে আহত করেন। তাঁর পেটে গুরুতর চোট লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সৌম্যদীপ।

আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান অয়ন। বাকি বন্ধুরা সৌম্যদীপকে উদ্ধার করে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যান। এক বন্ধুর কথায়, “আমরা সামনেই ছিলাম। প্রথমে ঝামেলায় পাত্তা দিইনি। পরে সিরিয়াস হচ্ছে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে থামানোর চেষ্টা করি। এরই মধ্যে পকেট থেকে ছুরি বার করে ঢুকিয়ে দেয় সৌম্যর পেটে।” চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সৌম্যদীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। আরও পড়ুন: OLXএ- ৮ হাজার টাকায় এসি বিক্রি করতে গিয়ে পকেট থেকে গেল ৫০ হাজার!

COVID third Wave