AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

HC On Namkhana Physical Assault Case: অভিযোগ তুলে নিতে নির্যাতিতাকে ‘চাপ’, এবার নামখানা গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

HC On Namkhana Physical Assault Case: শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী পিনকি আনন্দ সওয়াল করেন। তিনি আদালতে বলেন, "এত গণধর্ষণের ঘটনা আগে দেখা যায়নি। সিবিআই দেওয়া হোক। কেস ডাইরি আনা হোক।" আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি নামখানার মামলায় কেস ডায়েরি তলব করেন।

HC On Namkhana Physical Assault Case: অভিযোগ তুলে নিতে নির্যাতিতাকে 'চাপ', এবার নামখানা গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের
'ধর্ষণ' কেসে কেস ডায়েরি তলব
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2022 | 2:48 PM
Share

কলকাতা: নামখানা গৃহবধূকে ধর্ষণকাণ্ডে কেস ডায়েরি লব করলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগেই অন্য পাঁচটি জায়গায় ধর্ষণের ঘটনায় কেস ডায়েরি তলব করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷ সব কটি মামলাগুলির সঙ্গে নামখানার কেসটিও ২২ এপ্রিল শোনা হবে। এক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ানের ভিডিয়োগ্রাফি হয়নি। অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় তদন্তের অগ্রগতি কীভাবে হবে? এদিনের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী পিনকি আনন্দ সওয়াল করেন। তিনি আদালতে বলেন, “এত গণধর্ষণের ঘটনা আগে দেখা যায়নি। সিবিআই দেওয়া হোক। কেস ডাইরি আনা হোক।” আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি নামখানার মামলায় কেস ডায়েরি তলব করেন।

হাঁসখালি, রায়গঞ্জের পর কাকদ্বীপে বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁকে অ্যাসিড ছু়ড়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ঘরে কোনওভাবে ঢুকে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে তিন জন পিছন থেকে চেপে ধরেন। ঘরে তাঁকে টেনে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে চিনে ফেলায় তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ।

প্রথমে ওই নিগৃহীতা পরিবারের সদস্যদের কিছু বলেননি। লজ্জায় বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তকে চোখের সামনে ঘুরতে দেখে, আর সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রথমে স্বামীকে বিষয়টি জানান। তারপর তাঁরা থানার দ্বারস্থ হন।

নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় নির্যাতিতার ভাসুর অমল খাটুয়া ও তার বেয়াই কার্তিক মাইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য মহিলা সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএমের মহিলা সমিতির সদস্যরাও নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন। পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court : চারটি ধর্ষণ মামলায় তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিতে রাজি দময়ন্তী, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য