Municipality Recruitment Scam: ‘আমাদের অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে’, পুর নিয়োগ মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল কল্যাণের

Municipality Recruitment Scam: এদিন আদালতে শুনানির শুরুতেই রাজ্য লিখিত আকারে জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে।

Municipality Recruitment Scam: 'আমাদের অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে', পুর নিয়োগ মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল কল্যাণের
আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2023 | 5:48 PM

কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তবে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেছে কি না, সেই দ্বন্দ্বে এর আগে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল শুনানি। তবে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের লিখিত আকারে রাজ্য জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। ইডি ও সিবিআই উভয় সংস্থাই এদিন তদন্ত সম্পর্কে জানিয়েছে হাইকোর্টে। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্য। সম্প্রতি ১৪টি পুরসভায় যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তাতে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।

এদিন আদালতে শুনানির শুরুতেই রাজ্য লিখিত আকারে জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ হাইকোর্টে মামলার শুনানি চায় রাজ্য। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আশা করব, এটা নিয়ে আর কোনও ধোঁয়াশা থাকবে না।” রাজ্য বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ইডি জানায়, রাজ্যের আবেদনে লেখায় কিছু ত্রুটি আছে। একথা মেনে নেন বিচারপতিও। তিনি বলেন, “আবেদনে ত্রুটি আছে। এটা একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করবে।” এরপর রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “লেখায় কিছু ত্রুটি থাকলেও মামলা তুলে নিয়েছি, এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।” ত্রুটি থাকায় লিখিত বক্তব্য রেকর্ডে না রেখে আইনজীবীর বক্তব্যই রেকর্ড করেছে আদালত।

ইডি এদিন জানায়, ইডি সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা চলার সময় ওই নিয়োগ নিয়ে কী কী নথি পাওয়া গিয়েছে সে সব আদালতকে জানিয়েছিল তারা। অন্যদিকে, সিবিআই জানায়, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক নতুন তথ্য উদ্ধার হয়েছে। যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যথাযথ বলেও উল্লেখ করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

তবে রাজ্যের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, কোনও মামলা আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। রাজ্য পুলিশ কি ব্যর্থ হয়েছে? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও প্রশ্ন করেন, “পিএমএলএ আইনে সিবিআই কি এই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সি? তাহলে সিবিআই কেন? ইডি মামলায় যুক্তই নয়, তাতেও তারা গিয়ে আবেদন করল কোন এক্তিয়ারে? হাইকোর্টের তদন্ত হস্তান্তরের এক্তিয়ার আছে। সেটা এফআইআর হওয়ার পর। এখানে এফআইআর কোথায়?” তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে হাইকোর্ট যান্ত্রিকভাবে এজেন্সিকে দায়িত্ব দিতে পারে না, যদি শিক্ষার সঙ্গে পুর নিয়োগ সংযুক্ত হত তাহলে আলাদা করে এফআইআর করার কথা বলতে হত না। একই সঙ্গে কল্যাণ বলেন, “৭ জুন রাত ৯ টা পর্যন্ত তল্লাশি হল। আমাদের অফিসারদের হেনস্থা করা হল। তাদের কোনও নিরাপত্তা নেই?” এদিন মামলার শুনানি শেষ হল। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।