কলকাতা: নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নাম জড়িয়েছে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যখন জেলবন্দি, তখন নদিয়ার তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহাকে (Tapas Saha) নিয়েও উঠল প্রশ্ন। কেন বিধায়ক তাপস সাহাকে গ্রেফতার করা হয়নি? কেন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, হলফনামা দিয়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাপস সাহার বিরুদ্ধে।
এই মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি থাকছে। ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
তাপস সাহা সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত তাপস সাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট না পেশ হওয়ায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান ধৃত তিন ব্যক্তি। বিচারপতির মন্তব্য, তাপস সাহাকে গ্রেফতারির বিষয়টা বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালতের কোন প্রশ্ন নেই। আপাতত কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়ার কথাও বলেনি আদালত।
২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। এই অভিযোগে দায়ের হয় মামলা। মামলাকারীর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এসিবি।