কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বাধা উচ্চশিক্ষা দফতরের। চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে কথা। আগামী মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ের দিন স্থির হয়েছে। এদিকে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে রেজিস্ট্রারকে যে চিঠি লেখা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৭ তারিখ সিন্ডিকেটের মিটিং করলে তা আইনভঙ্গ হবে। নিঃসন্দেহে এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যা ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্য়পাল তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। প্রথম থেকেই আচার্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে উচ্চশিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না। তবে আচার্যের নিযুক্ত উপাচার্যরাই এখন কাজ করছেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে সেই তালিকায়। শান্তা দত্ত এই পদে আসীন। এর আগে ডিন অব ফ্যাকাল্টির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এখন তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। উচ্চশিক্ষাদফতর বলছে, যেহেতু এখানে স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই সিন্ডিকেটের বৈঠক নিয়মভঙ্গের শামিল। দফতরের বক্তব্য, অস্থায়ী উপাচার্যরা কোনওমতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক ডাকতে পারেন না। যাদবপুরে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার পরও উচ্চশিক্ষা দফতর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেই বৈঠক বন্ধ করে দেয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটল এবার।