কলকাতা: তিলোত্তমা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফেসবুক পোস্ট আইএমএ বেঙ্গলের। প্রসঙ্গত, একদিন আগে থেকেই ঘটনার দিন অকুস্থলে থাকা এক লাল জমা পরা লোক নিয়ে জোরদার চাপানউতোর চলছিল। কে তিনি, কে তার পরিচয়, কেন তাঁকে আটকালো হন না, কী করছিল হাসপাতাল, উঠেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। আরজি করের ক্রাইম সিনে ‘বহিরাগতদের’ এক্সক্লুসিভ ছবি তুলে ধরে টিভি ৯ বাংলা। ছবিতে লাল জামা পরা রহস্যময় ব্যক্তি কে? প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আগেই লাল জামা পরা এক সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিলোত্তমার মা।
যদিও শেষ পর্যন্ত জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম অভীক দে। তিনি এসএসকেএমের সার্জারি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ট্রেনি বলে জানাচ্ছে আইএমএ বেঙ্গল। কিন্তু, তিনি ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ হলেন কীভাবে? প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ শাখার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে লাল বাজারের তরফে জানানো হয় লাল জামা পরা ওই ব্যক্তি ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট। কিন্তু, কীভাবে হলেন সেই প্রশ্ন তুলছে আইএমএ।
কিন্তু, এসএসকেএম এর ডাক্তার হয়েও এই ব্যক্তি কী করে পৌঁছালেন ক্রাইম সিনে, তাঁর ভূমিকা ঠিক কী, কেন তাঁকে ঢোকার মুখে বাধা পেতে হল না, এই সব প্রশ্ন ঘিরেই চলছে চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, আগেই এক লাল জামা পরা ব্যক্তিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তিলোত্তমার মাকে। স্পষ্ট বলেছিলেন, “লাল টি-শার্ট পরে এক ব্যক্তি এসে ওখানে কিছু খোঁজাখুঁজি করছিল। সন্দেহজনকভাবেই তাকাচ্ছিল। আমার পাশে একজন পড়ুয়া ছিল তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ওই ব্যক্তির পরিচয়। সে বলেছিল গ্রুপ-ডি স্টাফ।” তাঁর দাবি, তিনি তারপরেই বলেছিলেন ওকে ধরো। বলছেন, “আমি বলি ও কিন্তু সন্দেহজনকভাবে তাকাচ্ছে। আমার শুনে দৌড়ে গিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। ছবিও তুলেছিলেন।”