AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

VC Appointment: কীভাবে হয় উপাচার্য নিয়োগ? কেন ফের হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত?

VC Appointment: এদিকে পার্থর আমলে সার্চ কমিটি তাঁদের তিনটি নামের প্রস্তাব পাঠাতো রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে। সেখান থেকে আচার্য একজনকে বেছে নিতেন।

VC Appointment: কীভাবে হয় উপাচার্য নিয়োগ? কেন ফের হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত?
ফের চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 10:18 PM
Share

কলকাতা: রাজভবন-নবান্ন-বিকাশভবন, একযোগে হাতে হাত ধরে কাজ করবে। কিছুদিন আগে এ কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে সে স্বপ্ন এখন অতীত। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের থেকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তলব করায় রাজ্যের অসন্তোষ সামনে এসেছিল কিছুদিন আগেই। বর্তমানে এবার রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা পদে উপাচার্য নিয়োগও করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাতেই ‘গোঁসা’ রাজ্যের। রেগে আগুন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, এমনিতে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াটা ঠিক কেমন? 

আগে ঠিক কীভাবে চলত নিয়োগ প্রক্রিয়া? 

সূত্রের খবর, কোনও উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ মাসে আগে নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৈরি হয় একটি সার্চ কমিটি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে থাকতেন ইউজিসির একজন প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কোর্টের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল ও শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি। সহজভাবে দেখতে গেলে কমিটিতে কেন্দ্রের তরফে থাকতেন দুই প্রতিনিধি। রাজ্যের তরফে ছিলেন ২ জন। পরবর্তীকালে ইউজিসির প্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে পাল্লা ভারী হয় রাজ্য়ের। 

নতুন যে সার্চ কমিটি তৈরি হয়েছে সেখানে ৫ জন সদস্যকে রাখা হয়। তালিকায় রয়েছেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি, ইউজিসির প্রতিনিধি। ফলে এখনও পাল্লাভারী রাজ্য়ের। এই সার্চ কমিটির হাত দিয়েই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার কথা। এমনটাই দাবি রাজ্যের। কিন্তু, সেই পথে না গিয়ে রাজ্যপাল নিজেই উপাচার্য নিয়োগ করে দেওয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্য। 

এদিকে পার্থর আমলে সার্চ কমিটি তাঁদের তিনটি নামের প্রস্তাব পাঠাতো রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে। সেখান থেকে আচার্য একজনকে বেছে নিতেন। এখন বলা হয়েছে ৩ থেকে ৫ জনের নাম পাঠানো হবে। সেখান থেকে ১ জনকে বেছে নেবেন রাজ্যপাল। যদি সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামে রাজ্যপালের কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে সে বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তিনি সার্চ কমিটির কাছে চাইতে পারেন। 

কোন ক্ষমতা বলে নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল? 

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজ্যপাল কাউকেই আর স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বহাল করছেন না। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, কারণ এটা সার্চ কমিটি দিয়ে হয়নি। বলা হচ্ছে কোনও অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে। কিন্তু, পূর্ণ সময়ের জন্য উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হচ্ছে না।