Howrah Traffic Police: মাঝ রাস্তায় হার্ট অ্যাটাক, গ্রিন করিডোর তৈরি করে ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন ওসি

Howrah Traffic Police: ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ। আর পাঁচটা দিনের মতোই ব্যস্ততা লেগেই ছিল শহরের রাস্তায়। তার উপর বিকেল হয়েছে। অফিস যাত্রীদের ফেরার ভিড়ও ছিল। সেই সময়ই নিজেদের চারচাকায় সস্ত্রীক পাইকপাড়ায় ফিরছিলেন বিশ্বনাথ দাস নামে ওই ব্যক্তি।

Howrah Traffic Police: মাঝ রাস্তায় হার্ট অ্যাটাক, গ্রিন করিডোর তৈরি করে ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন ওসি
ওসি সৌভিক সরকারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2023 | 2:58 PM

কলকাতা: অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী স্ত্রী। মাঝপথে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বনাথ দাস নামে ওই ব্যক্তি। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। অনবরত ঘাম ঝরতে থাকে শরীর থেকে। স্বামীর এ হেন অবস্থায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না স্ত্রী। তবে কর্তব্যরত ট্রাফিক ওসি সৌভিক সরকারের প্রচেষ্টায় তৈরি হয় গ্রিন করিডোর। তিনি নিজে পুলিশের গাড়িতে করে অসুস্থ বিশ্বনাথবাবুকে পৌঁছে দিলেন মেডিক্যাল কলেজে। ওসি-র এহেন ভূমিকায় তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ। আর পাঁচটা দিনের মতোই ব্যস্ততা লেগেই ছিল শহরের রাস্তায়। তার উপর বিকেল হয়েছে। অফিস যাত্রীদের ফেরার ভিড়ও ছিল। সেই সময়ই নিজেদের চারচাকায় সস্ত্রীক পাইকপাড়ায় ফিরছিলেন বিশ্বনাথ দাস নামে ওই ব্যক্তি। তাঁরা যখন ব্রেবোর্ন রোড ফ্লাইওভারে ছিলেন তখনই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।

সেই সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ছিলেন ওসি সৌভিক সরকার। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন বিশ্বনাথবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিশ্বাসটুকু পর্যন্ত ঠিকমতো নিতে পারছেন না। আর দেরি করেননি ওসি। সোজা ফোন করেন ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। অনুরোধ করেন গ্রিন করিডোর তৈরি করার জন্য। কারণ যে সময় ঘটনাটি ঘটেছে সেই সময় প্রচুর ট্রাফিক। ফলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছনো কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না।

এরপর ব্রেবোর্ন রোড থেকে মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত তৈরি করা হয় গ্রিন করিডোর। তবে সেই সময় কোনও ট্যাক্সি বা অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় ওসি সরকারি গাড়িতেই মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে বিশ্বনাথবাবুকে পৌঁছে দেন হাসপাতালে। এরপরও থেমে থাকেননি।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন দ্রুত রোগিকে ভর্তি করার জন্য। সেই মতো বিশ্বনাথ দাসকে ভর্তি করে অক্সিজেন ও নিবুলাইজ়ার দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানের রয়েছেন। ওসি সৌভিক চক্রবর্তীর এহেন ভূমিকায় বিশ্বনাথ দাসের স্ত্রী তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।