Fire in Kolkata: পরপর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে নিউ টাউনের বাংলাদেশি কলোনিতে
Fire: শীতকালে আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগে না। এ ক্ষেত্রেও খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। ঝুপড়ি এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দমকলের কর্মীরা উপস্থিত হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

প্রথমে একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ৬। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকলের পৌঁছতে অনেক দেরি হয়েছে, ফলে আগুনের লেলিহান শিখা পুরোপুরি গ্রাস করেছে পুরো বস্তিটি। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় উত্তরের হাওয়ায় নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গ্রাস করেছে। গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার।
(UPDATE)

শীতের সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুন জ্বলছে নিউ টাউনের ইকো পার্কের কাছেই। ওই এলাকায় রয়েছে শতাধিক ঝুপড়ি। এসআইআর আবহে ওই ঝুপড়িগুলি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল, এমন ছবি সামনে আসে। এবার সেই ঝুপড়িগুলিতেই আগুন ধরে গিয়েছে। একের পর এক ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। ঘুনি বস্তিতে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। আগুনের মধ্যে থেকেই পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ঝুপড়ি খালি হওয়ার ছবি সামনে আসছিল। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে অনেকে এসে ওই ঝুপড়িতে বসবাস শুরু করেছিলেন, এসআইআর শুরু হওয়ার পর তাঁরা ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। তবে বেশ কিছু ঝুপড়িতে এখনও মানুষজন ছিল। সেই এলাকাতেই দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তারা কাজ শুরু করতে পারেনি এখনও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঝুপড়ির ভিতর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, “ফাঁকা জায়গায় আগুন কী করে ধরল? ওখানকার বাসিন্দারা তো পগারপার। সেই জায়গাটা আবার কোনও প্রোমোটারের নজরে পড়ল না তো?” ভবিষ্যতে কারণটা সামনে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত জানান, তিনিই ফোন করে পুলিশ ও দমকলকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ সম্পর্কে সব্যসাচী বলেন, “এটা নিছকই দুর্ঘটনা। সেখানে মানুষ এখনও বসবাস করছেন। ইচ্ছে করে কেউ নিজের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় না। পাগলও নিজের ভাল বোঝে।”

