Suvendu Adhikari: ‘কাল মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও দশগুণ বেশি দেখুন আমার’, লাইভ নিয়ে শুভেন্দুর বড় চ্যালেঞ্জ
Suvendu Adhikari: বিরোধী দলনেতা বলেন, "বিশ্বনাথ কারক ওইসময় অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। বঙ্কিম ঘোষ নিজের আসনে বসে সরব হয়েছিলেন। তিনি কিংবা অগ্নিমিত্রা পাল ওয়েলে নামেননি। তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি বিধায়কদের চারবার সাসপেন্ড করা হল।"

কলকাতা: মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় অন্য ছবি দেখা যাবে বিধানসভার বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভার ভেতরে বক্তব্য রাখবেন, তখন বাইরে বক্তব্য রাখবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য শোনা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ১০ গুণ মানুষ যাতে তাঁর বক্তব্য শোনেন, সেই আবেদন জানালেন বিরোধী দলনেতা।
বিধানসভার অধিবেশন থেকে শুভেন্দু-সহ ৪ বিজেপি বিধায়ককে একমাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার অধিবেশন চলাকালীন কাগজ ছিঁড়ে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে ছোড়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়করা। তারপর তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
বিধানসভা থেকে তাঁদের সাসপেন্ড করার পর শুভেন্দু বলেন, “আমি বিরোধী দলনেতা। আমার বিধায়কদের চলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি দায়বদ্ধ। আজকের অধিবেশনকে অগ্রাহ্য করেছি। কাগজকে ছিঁড়ে উড়িয়ে দিয়ে ১০ মিনিট বিক্ষোভ দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছি। তারপরই সাজানো প্লট মেনে বিরোধী দলনেতাকে টার্গেট করে এবং অন্য যেসব বিজেপি নেতা সরব হন, তাঁদের টার্গেট করা হয়। যাঁরা বিতর্কে ভাল বলেন, তাঁদের টার্গেট করা হয়।”
বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিশ্বনাথ কারক ওইসময় অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। বঙ্কিম ঘোষ নিজের আসনে বসে সরব হয়েছিলেন। তিনি কিংবা অগ্নিমিত্রা পাল ওয়েলে নামেননি। তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি বিধায়কদের চারবার সাসপেন্ড করা হল।”
সাসপেন্ড করার কারণ হিসেবে বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই, বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপির আরও তিন বিধায়ককে বাইরে রাখা হল। যাতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দ্বিধায় ফাঁকে মাঠে বক্তব্য রাখতে পারেন। আমি আপনাদের বলে গেলাম, আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য লাইভ স্ট্রিমিং হবে। এবং উনি যত মিথ্যা কথা বলবেন, তত বাংলার মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন।”
এরপরই কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেদিন অধিবেশনে আসবেন, বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন না। আমরা ধর্না প্রদর্শন করব। আর আগামিকাল বিধানসভায় আমার যে বক্তব্য রাখার কথা ছিল, আমি বিধানসভার বাইরে বক্তব্য রাখব।” সেই বক্তব্যের লাইভ সম্প্রচার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার জনগণ যত সংখ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনবেন, তার চেয়ে দশগুণ মানুষ দয়া করে আপনাদের বিরোধী দলনেতার কথা শুনবেন। আমরা আগামিকাল সকালবেলায় ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল, ইনস্টাগ্রামে সেই লিঙ্ক দিয়ে দেব।”





