কলকাতা: গত সাত বছর ধরে ডেঙ্গির কবলে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যের। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকদের সচেতনতার বার্তার কথা আসে। কিন্তু এসব বার্তার আসাযাওয়ার মাঝে অব্যাহত থাকে মৃত্যুমিছিল। প্রত্যেক বছর নিয়ম করেই স্বজনহারাদের কান্না শোনা যায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যু যেন বছরের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির বদল ঘটানোর লক্ষ্যে একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণা শুরু করতে চলেছে আইসিএমআর ও নাইসেড।
তৃতীয় পর্যায়ে এই ট্রায়াল দ্রুত শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত। তিনি বলেন, “ডেঙ্গির ভ্যাক্সিন প্যানাসিয়া বায়োটিক তৈরি করেছে। দুটি পর্যায়ের স্টাডি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা একটা বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ট্রায়ালটা যৌথ উদ্যোগে আইসিএমআর ও নাইসেডের করার কথা।”
সর্বত্র ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাইয়ের হানায় কাবু রাজ্যবাসী। মাত্র সাত দিনে শুধুমাত্র সরকারি ক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। এক সপ্তাহে ২২ হাজার ২৯৪ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৮ হাজার ৮৫৮। বেসরকারি ল্যাবের হিসাব ধরলে সংখ্যাটা নিশ্চিত ভাবে উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেও শহরের তুলনায় গ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ। এক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন বিরোধীরা।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হঠাৎ করেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। এটাই চিন্তার বিষয়। ডেঙ্গি ছিল, একশো বছর বাদেও থাকবে, যদি না মানুষ সচেতন হয়।” ডেঙ্গি নিয়ে কী কেবল সচেতনতার বার্তাই সার, নাকি কোনও তা প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপও হবে, কবে থামবে মৃত্যমিছিল, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।