Illegal Constrution: দুটো আবাসনের মধ্যে দু’আঙুলের ফাঁক! কলকাতার বুকে ৫ বছরের পুরনো ফ্ল্যাটগুলি নিয়ে এবার কড়া প্রশাসন

Aritra Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 19, 2024 | 1:04 PM

Illegal Constrution: বাসিন্দাদের প্ল্যান না দেখিয়েই কীভাবে বিল্ডিং নির্মাণ? তিনি বললেন, "এখানকার বাসিন্দারা তো আগেই বুকিং করেছে। তাঁরা কোনও কাগজপত্রই দেখেননি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন অনেকে। অনেকে তো প্ল্যানই পাননি। ব্যাঙ্ক পেয়েছে, ভিতর থেকে প্রমোটারের সঙ্গে সেটিং হয়ে গিয়েছে।

Illegal Constrution: দুটো আবাসনের মধ্যে দুআঙুলের ফাঁক! কলকাতার বুকে ৫ বছরের পুরনো ফ্ল্যাটগুলি নিয়ে এবার কড়া প্রশাসন
মাঝে কেবল দু'আঙুলের ফাঁক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: গার্ডেনরিচ যেন হুঁশ ফিরিয়েছে। কলকাতার বুকে একাধিক বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশও। এবার বেআইনি নির্মাণ খুঁজবে পুলিশ। সমস্ত থানা ও DC-দের নজরদারি চালানোর নির্দেশ কলকাতা পুলিশের। কোন রকম নির্মীয়মান কাজ হলে তার বৈধ নথি রয়েছে কিনা, পুরসভার কাছে তথ্য আছে কিনা,সব খতিয়ে দেখার নির্দেশ লালবাজারের। কোন পুরানো বাড়ি থাকলে তা দ্রুত চিহ্নিত করবে স্থানীয় থানা।

গার্ডেনরিচে যে জায়গায় নির্মীয়মান বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে, তারপর পাশেই রয়েছে বহু বেআইনি নির্মাণের নির্দশন। পাহাড়পুর রোড এলাকায় একের পর এক বিপজ্জনক বাড়ি। পুরসভার কোনও নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠছে বহুতল। G+4 আবাসন J470/A, J470/B, একটি আবাসন, আরেকটি আবাসনের সঙ্গে গায়ে লেগে আছে। দুটি বাড়ির মধ্যে গ্রাউন্ড ফ্লোরে কিছুটা গ্যাপ থাকলেও, 1ST ফ্লোরের পর থেকেই গ্যাপ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, G+3 এর অনুমতি থাকলেও জোরজবরদস্তি নির্মাণ করা হয়েছে আরও একটি অতিরিক্ত তলা। তাতেই সমস্যা।

এরকম G+4 বিল্ডিং। ঝাঁ চকচকে রঙ। দৃশ্যত নতুন, মাত্র পাঁচ বছরের পুরনো। সেই বিল্ডিংয়ের বাইরেই বড় বড় অক্ষরে নোটিস টাঙানো। বিপজ্জনক বাড়ি। সেই আবাসনেরই এক বাসিন্দা রতন সিং বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি বললেন, ”
২০১৬ সালে এই বিল্ডিংয়ে আমরা ফ্ল্যাট বুক করেছিলাম। ২০১৯ সালে রেজিস্ট্রি হয়। সে সময়ে দুই বিল্ডিংই ঠিক ছিল। কিন্তু তারপর থেকে বিল্ডিং দুটো ঝুঁকতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের কমপ্লেশন সার্টিফিকেট দেয়নি। আমরা বারবার চাইতে থাকি। আমরা অনেকবার চিঠিও করেছি।”

কিন্তু বাসিন্দাদের প্ল্যান না দেখিয়েই কীভাবে বিল্ডিং নির্মাণ? তিনি বললেন, “এখানকার বাসিন্দারা তো আগেই বুকিং করেছে। তাঁরা কোনও কাগজপত্রই দেখেননি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন অনেকে। অনেকে তো প্ল্যানই পাননি। ব্যাঙ্ক পেয়েছে, ভিতর থেকে প্রমোটারের সঙ্গে সেটিং হয়ে গিয়েছে।”

ওই ফ্ল্যাটেরই আরেক বাসিন্দার বিস্ফোরক অভিযোগ, “মানুষ বরোতে গিয়ে মিউটেশন করে ট্যাক্সও ভরছে। সবাই ভাবছে সব ঠিক আছে। আজ যদি বিল্ডিং ভাঙে, তাহলে শুধু মানুষেরই প্রাণ যাবে। সরকার হাত উচু করে দেবে, প্রোমোটার গায়েব। এরকম কিন্তু শুধু একটা-দুটো নয়। গোটা গার্ডেনরিচ চত্বরেই এরকম বিল্ডিং রয়েছে। এই বিল্ডিংটা তো মাত্র পাঁচ বছর হয়েছে।”

তিনিই জানান, ২০২৩ সালে বিপজ্জনক বাড়ির নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রোমোটার বলছে আইনি ব্যবস্থা নেবে। G+4, G+5 স্যানসাং হচ্ছে, এর মধ্যে সরকারেরও হাত রয়েছে। প্রোমোটার বেআইনি নির্মাণ করেছে, আমরা বারণ করলে মেরে ফাটাবে। প্রোমোটারের পিছনে যার হাত রয়েছে, কাউন্সিলরের হাত রয়েছে, বিধায়কের হাত রয়েছে। মেয়রের ওপর সরকারের হাত। না হলে এটা কীভাবে হবে?”

গার্ডেনরিচের ঘটনায় ব্যর্থতা কবুল করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পুরমন্ত্রী। খোদ মেয়রের কণ্ঠে আক্ষেপ, “কিছু কাউন্সিলর পাঁচিল তুলতেও টাকা নেয়! বেদনাদায়ক ঘটনা এটা। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গরিবের মৃত্যু হয়েছে।”

Next Article