কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার রেলের তিন পদস্থ কর্তাকে তলব করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। ৪ মার্চ হাজিরা দিতে বলে চলতি সপ্তাহেই নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের কাছে। সেইমতোই এদিন উপস্থিত হন আসানসোল ডিভিশনের তিন পদস্থ কর্তা।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে রেলের সাইডিং থেকে বড় পরিমাণে কয়লা চুরির ঘটনা ঘটে। সে বিষয়েই এই জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। তালিকায় রয়েছেন বারাবনির স্টেশন মাস্টারও। শুধু ২০১৯-ই নয়, এর আগেও রেলের এলাকা থেকে কয়লা চুরির অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, মালগাড়ি বোঝাই করে অতিরিক্ত কয়লা নিয়ে যাওয়া হত। নির্দিষ্ট জায়গায় রেললাইনের ধারে বস্তা পাতা থাকত। সেখানে মালগাড়ি পৌঁছতেই অতিরিক্ত কয়লা সেখানে ফেলে দেওয়া হতো। বেলচা দিয়ে লালার লোকেরা তা নীচে ফেলতেন। এরপর তাঁরাই সেই কয়লা নিয়ে যেতেন। গোটা প্রক্রিয়াটা কীভাবে চলত তা জানতে চায় সিবিআই।
এ প্রসঙ্গে রেলের আধিকারিকদের কাছে তদন্তকারীরা জানতে চান, যে সমস্ত জায়গায় মালগাড়ি দাঁড়াত সেখানে আদৌ মালগাড়ি দাঁড় করানো যায় কি না। হঠাৎ করে গাড়ি থামানোর নিয়ম আছে কি না, এ সংক্রান্ত কিছু রেলের নজরে এসেছিল কি না। এ নিয়েই রেলের কর্তাদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে আবারও তাঁদের ডাক পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উঠল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার
কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই যে এফআইআর করেছিল সেখানে অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম ছিল। সঙ্গে ইসিএল, রেলের কর্তাদের একাংশের দিকেও সন্দেহের তীর ছিল। যদিও নির্দিষ্ট করে কারও নাম তদন্তকারীরা জানাননি। এরপরই বৃহস্পতিবার রেলের তিন আধিকারিকের সিবিআই দফতরে ডাক পড়ে।
এখনও অবধি লালার নাগাল তদন্তকারীরা পাননি। একইসঙ্গে লালার অত্য়ন্ত নির্ভরযোগ্য বিনয় মিশ্রও বেপাত্তা। তবে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্র, ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়া কিংবা ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই যে কয়লাকাণ্ডে বেশ কিছু তথ্য জোগাড় করেছে তা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নারুলাকেও তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নজরে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী, আইপিএস, আইএএসও।