AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এনআরএস-এ জটিল অস্ত্রোপচার, তিন বছরের শিশুর হাত থেকে বের করা হল কাস্তের ফলা!

NRS Hospital: মাঠে চাষের কাজ সেরে বাড়িতে এসে খেতে বসেছিলেন বাবা। আচমকা এক মাত্র পুত্রের তারস্বরে কান্না। কী হয়েছে দেখতে গিয়ে উঠে গিয়ে চমকে ওঠেন তিনি। চাষের কাস্তেটা (Sickle) ছেলের বাঁ হাতস ফুড়ে ঢুকে রয়েছে যে! সে ভাবেই তিন বছরের ছেলে বসে রয়েছে।

এনআরএস-এ জটিল অস্ত্রোপচার, তিন বছরের শিশুর হাত থেকে বের করা হল কাস্তের ফলা!
এনআরএস হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে বের করা হল শিশুর হাত থেকে কাস্তে। নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 4:22 PM
Share

কলকাতা: মাঠে চাষের কাজ সেরে বাড়িতে এসে খেতে বসেছিলেন বাবা। আচমকা এক মাত্র পুত্রের তারস্বরে কান্না। কী হয়েছে দেখতে গিয়ে উঠে গিয়ে চমকে ওঠেন তিনি। চাষের কাস্তেটা (Sickle) ছেলের বাঁ হাত ফুঁড়ে ঢুকে রয়েছে যে! সে ভাবেই তিন বছরের ছেলে বসে রয়েছে। ভাত থালা পড়ে রইল ওভাবেই। ছেলেকে নিয়ে দু’ দুটো হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital) নিয়ে আসেন নদিয়ার তাহেরপুর থানার বাসিন্দা গৌর হালদার। জটিল অস্ত্রোপচারে রক্ষা পেল শিশুর বাঁ হাত। হাঁফ ছাড়লেন বাবা-মা।

নদিয়ার তাহেরপুর এলাকার বাসিন্দা গৌর হালদার পেশায় কৃষক। সোমবার সকালে মাঠে চাষের কাজ করে বাড়ি ফিরেছিলেন। স্নান সেরে ভাতের গ্রাস তুলবেন এমন সময় ছেলের চিলচিৎকার। উঠে গিয়ে বুকটা ধক্ করে উঠল বাবার। দেখেন তাঁর তিন বছরের ছেলে রাহুলের হাত ফুঁড়ে ঢুকে গিয়েছে তাঁরই রাখা কাস্তে। খাবারের থালা পড়ে রইল। ওই অবস্থাতেই ছোটেন স্থানীয় বাকতুল্লা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন সেখানে হবে না এইই চিকিৎসা। পড়িমরি করে ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা এর পর যান কৃষ্ণনগরের শক্তিপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করা হয় ছোট্ট রাহুলকে। হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়েও শিশুটির চিকিৎসা হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকেরা প্রমাদ গোনেন। কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন তাঁরা।

অগত্যা এর পর অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সন্ধে সাতটা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শিশুটেকে। হাতে তখন তার ব্যান্ডেজ। ঢুকে রয়েছে কাস্তের ফলা। অবশেষে কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে শিশুটির হাত থেকে কাস্তে বের করে ফেলেন এনআরএস হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কৌশিক সাহা।

গৌরবাবুর কথায়, আরও আগে নিয়ে এলে ভাল হত। কিন্তু রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্সও খারাপ হয়ে গেল। তাই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। তবে ছেলে যে এখন ভাল আছে, কথা বলতে পারছে, হাত নড়াচড়া করতে পারছে এতেই স্বস্তি পেয়েছেন বাবা। জানান, এখন ভাল আছে ছেলে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে আরেকটি জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। এক মাসের শিশুর খাদ্যনালি থেকে বের করা হয় ধাতব হুক। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে অস্ত্রোপচারে প্রাণে বাঁচে সেই খুদে। সেও খেলার সময় মায়ের পোশাকে থাকা হুক গিলে ফেলেছিল বলে খবর। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁশকুড়া থেকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সেখানেই জটিল অস্ত্রোপচার শেষে সারিয়ে তোলা হয় সদ্যোজাতকে। এবার এনআরএস হাসপাতালে আরেক শিশুর কঠিন অস্ত্রোপচার সফল ভাবে সমাপ্ত করলেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে ফিরলেন, বাড়িতে ঢুকেই শুরু হল বমি, বুকে ব্যথা! মুহূর্তেই সব শেষ