Bantala: বানতলায় তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরির অভিযোগ, শওকতের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিনিয়োগকারীদের
Bantala: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের সব স্তরে তৃণমূল বিধায়কের দাপট থেকে রেহাই চেয়ে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের ‘চার্টার অফ ডিমান্ড’ পেশ করেছেন। তাতে শিল্পতালুকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক-সহ এলাকার অন্যান্য প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে।
বানতলা: বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে শাসক দলের দাদাগিরির অভিযোগ। লেদার কমপ্লেক্সের বিনিয়োগকারীদের কাঠগ়ড়ায় শাসক দলের বিধায়ক। পরিস্থিতি এমনই যে, বানতলার শিল্পতালুকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। শিল্পতালুকের ভিতরে সভা সমাবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের সব স্তরে তৃণমূল বিধায়কের দাপট থেকে রেহাই চেয়ে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের ‘চার্টার অফ ডিমান্ড’ পেশ করেছেন। তাতে শিল্পতালুকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক-সহ এলাকার অন্যান্য প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার ওসি-র বদলি চাওয়া হয়েছে। লেদার কমপ্লেক্সের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ৪ নিরাপত্তা রক্ষীকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। তার জেরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টও বন্ধ।
ঘটনা সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। জানা গিয়েছে, একটি স্বচ্ছ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই অভিযানের সময় চারজন কর্মী কাজে যোগ দিতে চাননি। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই কর্মীরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই কারণে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। এরপর থেকেই চলছে অচলাবস্থা। চলছে ধর্না। গত ৩৮ দিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। লেদার কমপ্লেক্স ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন। এখানকার বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এমনকী লেদার কমপ্লেক্স থানার ওসিকেও বদলের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এরপরও আশ্বস্ত না হয়ে গত সোমবার বারুইপুর আদালতে চর্মনগরী চত্বরের অভ্যন্তরে ১৪৪ ধারার আর্জি জানানো হয়। তা মঞ্জুরও করে নিম্ন আদালত। বৃহস্পতিবার চর্মনগরী তালিকা কর্মী সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই সমাবেশ আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ছোটেন বিনিয়োগকারীরা। বিচারপতি মান্থা তাঁর রায়ে চর্মনগরীর অভ্যন্তরে সমাবেশের অনুমতি দেননি।
এ দিন, আন্দোলনরত কর্মী দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। শওকত মোল্লা দোষী নন। বিনিয়োগকারীরাই দুর্নীতি করছেন” সত্য অধিকারী নামে আরও এক কর্মী বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং শওকত মোল্লা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস আমরা সঠিক পথে যাচ্ছি।” এই ঘটনায় এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শওকত মোল্লার। এই বিষয়ে রাকেশ রায়চৌধুরী বলেন, “বিনা অপরাধে চারজন শ্রমিককে সাসপেন্ড করল। অভিযোগ করল ওরা নাকি মদ্যপ অবস্থায় কাজ করছে। পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করার পর যখন পরীক্ষা করল দেখল রিপোর্ট নেগেটিভ। এরপর প্রত্যেকে কাজে গেল। কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হল না। এরপর বলা হল কাজ বন্ধ। ওরাই বেআইনি কাজ করেছে। বিধায়ক শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন।”