কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের একাংশের যোগ? শুধু ডিআইবি অফিসের পুলিশ কর্মীর একাংশই নন, এবার গোয়েন্দাদের নজরে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের ফাঁকফোকর। পোর্টালে নথি আপলোডের ক্ষেত্রেও বড় রকমের কারসাজি হয়েছে, মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের গত কয়েক মাসের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তথ্য আপলোডে কারসাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, দিনে পাঁচ থেকে সাতটা করে যাচাই না করেই ভুয়ো নথি আপলোড হয়েছে পোর্টালে, এমনই তথ্য মিলেছে তদন্তে। তাহলে এই পথেই বছরে বছরে হাজার হাজার ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির পর ছড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য তথা দেশের নানা প্রান্তে? এই পাসপোর্টগুলিকে হাতিয়ার করেই চলেছে কুকর্ম?
নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে নথি আপলোড হওয়ার আগে ভেরিফিকেশন করা হয়। তারপর তা যায় পাসপোর্ট অফিসে, সেখানে দু’দফায় ভেরিফিকেশন হয়। এই পরীক্ষার পর নথি আপলোড হয় পোর্টালে। এরপর আরপিও বা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসেও ভেরিফিকেশন করে পাঠানো হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে। পুলিশ রিপোর্ট পাঠালে তারপর চূড়ান্ত ভাবে পোর্টালে তথ্য আপলোড করে থাকে আরপিও। এক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন পর্বেই বিস্তর কারসাজি হয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। এখন দেখার তদন্তের জাল আরও গোটানো হলে আর নতুন কী কী তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের।