ISF-Left Front: নওশাদদের দাবি মাত্র ৮ আসন, এখনও ‘চূড়ান্ত’ নয় ডায়মন্ড হারবার, তাহলে কোন কোন জায়গা চাইছে আইএসএফ?

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Mar 14, 2024 | 5:10 PM

Nawsad Siddiqui: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে আগেই ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব সেটা আলোচনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া আরও যে আটটি আসন আইএসএফ চাইছে, সেগুলি হল বারাসত, বসিরহাট, মথুরাপুর, যাদবপুর, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, মালদা দক্ষিণ ও মুর্শিদাবাদ।

ISF-Left Front: নওশাদদের দাবি মাত্র ৮ আসন, এখনও চূড়ান্ত নয় ডায়মন্ড হারবার, তাহলে কোন কোন জায়গা চাইছে আইএসএফ?
নওশাদ সিদ্দিকী, মহম্মদ সেলিম
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: লোকসভা ভোটে একলা চলা নয়, বরং বামেদের সঙ্গেই জোট বেঁধে এগতে চাইছে নওশাদ সিদ্দিকীর দল। প্রথমে তারা চেয়েছিল ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন। তারপর সেখান থেকে কমে জোটের স্বার্থে ১৪টি আসনের কথা বলে আইএসএফ। এবার সেখান থেকে আরও কমিয়ে আটটি আসনে নেমে আসতে রাজি হয়েছে আইএসএফ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে আগেই ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এখনও সেটা নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া আরও যে আটটি আসন আইএসএফ চাইছে, সেগুলি হল বারাসত, বসিরহাট, মথুরাপুর, যাদবপুর, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, মালদা দক্ষিণ ও মুর্শিদাবাদ।

আইএসএফ সূত্রে খবর, জোট রাজনীতির স্বার্থে তারা যাদবপুর কেন্দ্রটি বামেদের জন্য ছেড়ে দিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের শর্ত, যাদবপুর থেকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেই প্রার্থী করতে হবে বামেদের। সেক্ষেত্রে পরিবর্ত আসন হিসেবে বালুরঘাট, জয়নগর কিংবা ঝাড়গ্রামের মধ্যে একটি আসন চাইছে নওশাদদের দল। আইএসএফ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষেই আইএসএফ নেতৃত্ব। তবে, তাদের শর্ত না-মানলে আজই প্রার্থী ঘোষণা করার পথে হাঁটতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। এদিকে আবার আজ বিকেলেই বামেদের লোকসভা ভোটের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। তার ঠিক আগেই নিজেদের অবস্থান আরও নমনীয় করে আট আসনের কথা বলে, বামেদের উপর জোট ধর্মের চাপ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল আইএসএফ, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আইএসএফ সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক জানিয়েছেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবার থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। পার্টির থেকেও তেমনই ইঙ্গিত ছিল। এখনও সেই ইঙ্গিত আছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা পার্টির চেয়ারম্যানকে প্রার্থী করার জন্য উৎসাহী। সেই উৎসাহকে গুরুত্ব দিয়েই দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারব।’

Next Article