কলকাতা: নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএর হাতে গ্রেফতার হন ঈশা খান। দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সেই ঈশা খানের ছেলে রনির। শুধু ছেলেই হয় দুই আত্মীয়ও মারা গিয়েছেন এই দত্তপুকুর বিস্ফোরণে। ছেলের অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে আদালতে প্যারোলের আবেদন করেন ঈশা। বিশেষ এনআইএ আদালতে আবেদন জানান তিনি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আদালতের নির্দেশ, ঈশাকে নিরাপত্তা দিয়ে অন্ত্যেষ্টির কাজে যোগ দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে ফের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে আনা হবে তাঁকে।
দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে মুর্শিদাবাদের সুতির নতুন চাঁদড়া গ্রাম। বাজি কারখানায় মৃত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনই এ গ্রামের বলে খবর। তালিকায় ঈশা খানের ছেলে রনি যেমন আছেন, আছেন ঈশার ভাই জিরাত শেখও। যে জিরাত কেরামত শেখকে বিস্ফোরক সরবরাহ করতেন বলেই অভিযোগ। জিরাতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও দত্তপুকুরে থাকতেন। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে গ্রামে ফিরে যান জিরাত-পত্নী।
প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে নিমতিতা স্টেশনে বোমা মারার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ঈশা খানকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। প্রাক্তন মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোড়া বিস্ফোরকের ‘সাপ্লায়ার’ হিসাবে উঠে এসেছিল ঈশার নাম। এমনও অভিযোগ ওঠে, আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল সে সময় আর ঈশাই তার জোগান দেন। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে এনআইএর হেফাজতে ঈশা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে কি উঠে আসেনি ঈশার ছেলে কিংবা তাঁর পরিবারের এই মারণ ব্যবসায় যুক্ত থাকার কথা?