কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই জয়দীপ ঘোষ নামে যাদবপুরের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছিল পুুলিশ। ৯ অগস্ট রাতে ঘটনার পর পুলিশ যাদবপুরের মেইন হস্টেলে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা পেতে হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, জয়দীপকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন যাদবপুরের বর্তমান ছাত্র দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষ। এদিন এই মামলায় তিনজনকেই তোলা হয় আলিপুর আদালতে। সেখানেই তিন ধৃতের আইনজীবী ও সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল শোনার পর এই মামলায় তিনজনেরই জামিন দেয় আদালত।
সূত্রের খবর, ২০০০ টাকার বেল বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তিনজনকে। এদিকে যাদবপুরের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপের বিরুদ্ধে শুধু পুলিশকে বাধা দেওয়ার মামলা থাকলেও প্রথমবর্ষের পড়ুয়াকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ রয়েছে দীপশেখর ও মনোতোষের বিরুদ্ধে। সেই মামলা চলছে। সেই কেসে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু’জনেরই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অতএব, এখনই জেল মুক্তি হচ্ছে না যাদবপুরের অর্থনীতি ও সমাজবিদ্য়ার এই দুই ছাত্রের।
প্রসঙ্গত, জয়দীপকে নিয়ে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যাদবপুরের হস্টেলের অনেক আবাসিককে। আগেই লালবাজারে ডাক পড়েছিল রেজিস্ট্রার, ডিনের। ঘটনার পর থেকেই যাদবপুরে জোরালো হয় সিসিটিভি বসানোর দাবি। ইতিমধ্য়েই ২৬টি সিসিটিভির অর্ডারও দিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ছাড়াও সিসিটিভি বসতে চলেছে হস্টেলের গেটেও। যদিও তা নিয়ে ক্যাম্পাসের অন্দরে চলছে চাপানউতর।