কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ হাইকোর্টের দুয়ারে। চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ মরিয়া আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। আজই তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল বিচারপতি সৌমেন সেনের। কিন্তু এই মামলা থেকে সৌমেন সেন সরে দাঁড়ানোর আবারও অন্ধকারের মুখে চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের সরাতে তৎপর পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেনব চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগে একাধিকবার বিকাশ ভবন, আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। সল্টলেক করুণাময়ী চত্বর বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার হাইকোর্টের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা।
এক বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমরা এটাই বুঝতে পারছি না, সরকার বিরোধী দল কেন বারবার আমাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের নিয়ে রাজনীতি করার কোনও জায়গাই নেই। আমাদের এখন মরণ বাঁচন সমস্যা। আমরা কাউকে এলিগেশন দিচ্ছি না। আমরা কবে বিচার পাব? ১০ বছর ধরে লড়াই চলছে। আমাদের বুক ফেঁটে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেন। কেবলমাত্র আপার প্রাইমারি সংক্রান্ত এই মামলা বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে বিচারাধীন। ৩০ তারিখ এই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু মেজিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুই বিচারপতির ‘দ্বন্দ্বে’র পরই বিচারপতি সৌমেন সেন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তার আগে তিনি বলেন, ‘এনাফ ইজ় এনাফ!’ কিন্তু এদিনে যাঁদের মামলার শুনানি ছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই আদালতে উপস্থিত হন। বিচারপতি সৌমেন সেন সরে দাঁড়ানোয় থমকে য়ায় বিচারপ্রক্রিয়া।
তখনই বেলা ৪টে নাগাদ হাইকোর্টের বাইরে আচমকা ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “কালকের মধ্যে মামলাকারীদের বক্তব্য শোনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজকে বিচার হত। বিচারপতি এজলাসে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে বিচারাধীন ছিল। তাঁর নির্দেশে ২৩ অগস্ট প্যানেল প্রকাশ হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলিং হয়। আমাদের জয়েনিংয়ের শুনানি চলছিল। দুপক্ষের বক্তব্য শোনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বের জন্য তিনি সরে দাঁড়ালেন। আমাদের অর্ডারটা হল না। আবার অন্য কোনও বিচারপতির বেঞ্চে যাবে, আবার শুনানি হবে… আমরা আর কতদিন এভাবে লড়াই করব? এই মামলায় ৭-৮ খানা বেঞ্চই বদল হল, আমরা বিচার পেলাম না। আমরা এখানে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছি।”