JU Student Death: ১১ তারিখ রেজিস্টারে ‘প্রেজেন্ট’, ওই দিনই কাশ্মীরে! পোস্ট করে প্যাঁচে আলু

Aritra Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 22, 2023 | 3:32 PM

JU Student Death: ফেসবুক পোস্টে ট্রেন ও ফ্লাইটের যে সংস্থার টিকিট শেয়ার করেছেন তিনি, আদতে সেই সংস্থা এখন পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি আরও বিস্ফোরক তথ্য, রেজিস্ট্রার খাতাতেই ১১ তারিখে 'প্রেজেন্ট'রয়েছেন আলু। সুতরাং ক্রমেই প্যাঁচে পড়ছেন তিনি।

JU Student Death: ১১ তারিখ রেজিস্টারে প্রেজেন্ট, ওই দিনই কাশ্মীরে! পোস্ট করে প্যাঁচে আলু
ক্রমশই প্যাঁচে আলু
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: ঘটনার পর থেকেই তিনি ছিলেন ‘গায়েব’। তাঁর নামে পোস্টারও পড়েছিল ক্যাম্পাসে। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে তাঁর নাম উঠেছিল। অভিযোগ ওঠে, তিনিই নাকি মৃত্যুর পর তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছিলেন। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ১১ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন সেই অরিত্র ওরফে আলু। নিজের সামাজিক মাধ্যমে তিনি সাফাই দিয়েছেন। আলু দাবি করেছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট তিনি হস্টেলে যাননি। এবং তারপর কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। প্রমাণ স্বরূপ তিনি বিমানের টিকিটের ছবিও ফেসবুকে দেন। কিন্তু তদন্ত চালাতেই TV9 বাংলার হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা ভালো, নিজের স্বপক্ষে যুক্তি খাঁড়া করতে গিয়ে আলু পড়লেন আরও প্রশ্নের মুখে। ফেসবুক পোস্টে ট্রেন ও ফ্লাইটের যে সংস্থার টিকিট শেয়ার করেছেন তিনি, আদতে সেই সংস্থা  সাময়িকভাবে এখন পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। এমনকি আরও বিস্ফোরক তথ্য, রেজিস্ট্রার খাতাতেই ১১ তারিখে ‘প্রেজেন্ট’রয়েছেন আলু। সুতরাং ক্রমেই প্যাঁচে পড়ছেন তিনি।

অরিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজধানী এক্সপ্রেসে। তারপর সেখান থেকে বিমানে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে যে কোম্পানির ফ্লাইটের টিকিট তিনি কাটেন, সেই কোম্পানির ফ্লাইট দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ, প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। যা ওই বিমান কোম্পানি টুইট করে জানিয়েছিল। তাহলে যে টিকিট অরিত্র পোস্ট করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি টিকিট কেটেছেন ২৩ এপ্রিল, তার যাত্রার তারিখ ১১ অগস্ট। কিন্তু বিমান কোম্পানির নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে ১১ তারিখ তাদের কোনও বিমান পরিষেবা নেই। যদি বিমান পরিষেবা নাই থাকে তাহলে কীভাবে অরিত্র মজুমদার কাশ্মীর পৌঁছালেন?

তাহলে কি সত্যি আদৌ বলছেন অরিত্র? TV9 বাংলায় এই খবর সম্প্রচারিত হয়। এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই আবারও ফেসবুক পোস্ট অরিত্র মজুমদার। যে বেসরকারি বিমান কোম্পানির পরিষেবা বন্ধ ছিল, তার বাতিলের মেসেজ এবং অন্য একটি বিমান কোম্পানি থেকে কাটা টিকিট ও ট্রেকিংয়ের অনুমতি পত্র দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন।

প্রশ্ন উঠেছে, নিজের পক্ষে যখন সাফাই দিচ্ছেন অরিত্র, তখন দু’সময়ে দু’ধরনের পোস্ট কেন? কলেজের রেজিস্টার খাতার একটি স্ক্রিনশট হাতে এসেছে TV9 বাংলার হাতে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ১১ তারিখ সই করেছেন তিনি। দ্বিতীয়বার পোস্টের সময়ে আবার অরিত্র ওরফে আলু লিখেছেন, ‘এত ডিটেইলে কথা হবে ভাবিনি…’। পাশাপাশি তাঁর টিকিটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যদি ১১ তারিখ কাশ্মীরেই থাকেন, তাহলে কীভাবে রেজিস্টার খাতায় তাঁর সই? যেখানে এক নাবালক ছাত্র, এক স্বপ্নের এত মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি, যেখানে তাঁর নাম জড়িয়েছে, তাহলে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র কীভাবে ভেবে নিতে পারলেন, ‘এত ডিটেইলে কথা’ হবে না? উত্তর অবশ্য অধরাই।

Next Article