কলকাতা: ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের সম্ভাবনা। দোরগড়ায় পৌঁছেও বৈঠক না হওয়া। অবশেষে সোমবার হল বৈঠক। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু, সেই বৈঠকে কি জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানা হল? বৈঠক শেষে রাজ্যের তরফে জানানো হল, বেশিরভাগ দাবি মানা হয়েছে। আর আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, তাঁদের স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযান সম্পূর্ণ হয়নি। সব দাবি মানা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের কোন কোন দাবি পূরণ হল না?
আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর দাবি জানান। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই দাবি জানান তাঁরা। বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে বদল করা হবে। তবে স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো হচ্ছে না। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা বোঝালাম যে একটা বাড়ি যদি পুরো খালি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসন চালাবে কে?”
স্বাস্থ্য সচিবকে না সরানোয় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা যে খুশি নন, তা তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, “স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযান সম্পূর্ণ করতে পারিনি। আমরা পথ খোলা রেখেছি। যেটুকু পেরেছি, তা ৩৮ দিনের আন্দোলনের ফল।”
আরজি কর কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আরজি করে ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে। তাঁকে ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলেছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও ডিসি নর্থকে সরানো হলেও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের এই দাবি মানেনি রাজ্য সরকার।
বৈঠকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম দাবিটি সিবিআইয়ের তদন্তাধীন। বাকি চারটি দাবির মধ্যে তিনটি মেনে নেওয়া হয়েছে।” আর বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখতেই হবে বলে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা।