কলকাতা: মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় খুলতে পারে জট। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দিতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বন্যা কবলিত এলাকায় ক্লিনিক করবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহারের সম্ভাবনা। শুক্রবার দুপুরে মিছিল করতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মিছিল করে ধরনা প্রত্যাহার করতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে সরকারের। চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বাংলার নানা প্রান্ত ঘুরে দেখে নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। সাফ বলেন, “এখন মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা দরকার। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। চিকিৎসকদের বলব, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রাণ বাঁচানোই এখন সবচেয়ে বড় কাজ। এটা রাজনীতি করার সময় নয়।” এরই মধ্যে ডাক্তারদের ধরনা উঠে গেলে তা যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরতে হয় বিনীত গোয়েলকে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উপর মহলেও আসে বড় বদল। এরইমধ্যে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। ফের ১৫ দফা দাবিও দেওয়া হয়। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেনে নেওয়া হয় ১০ দফা দাবি।