কলকাতা: নাহ হল না। শনিবারও হল না। ভেস্তে গেল বৈঠক। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বলছে তাঁরা দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছে, আর তাঁরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছেন। বৃষ্টি ভিজছেন।
এ দিন, শেষ মুহূর্তে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের সব শর্ত ত্যাগ করেন। তাঁরা রাজি হন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে। তবে এবার রাজি নয় প্রশাসন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়ে দেন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
এ দিন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন,”আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করে বলেছিলাম সেখানে বলেছিলাম বৈঠকে যেন স্বচ্ছতা থাকে। আমরা এলাম। আসার পর বললাম লাইভ স্ট্রিমিং যাতে করা যায়। কিন্তু ওঁরা বললেন সম্ভব নয়। আমরা বললাম অন্তত দু’পক্ষকে স্বচ্ছভাবে ভিডিয়ো করতে দেওয়া হোক। তাতেও বললেন নাহ দুপক্ষকে ভিডিয়ো করতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই ভিডিয়োর কপি। ওঁরা বললেন সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে তবে কপি দেওয়া হবে। আমরা এও বললাম যে, ভিডিয়োটা তো প্রমাণ হিসাবে আমাদের লাগবে। আমরা তারপর আবার আলোচনা করলাম। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা চা খেয়ে যাও। তবে ভিডিয়ো কিন্তু দেওয়া যাবে না। এটা বিচারাধীন বিষয় ভিডিয়ো পরে দেব। এই ঘটনার পর আবার আমরা আলোচনা করলাম। আমরা তাতেই রাজি হলাম। বললাম এই টুকুতেই রাজি। আমাদের ভিডিয়োর দরকার নেই। আমরা বিশ্বাস রাখলাম।”
দেবাশিস আরও বলেন, “এরপর আমরা যখন রাজি হলাম যে ওই মিনিটস টুকু দেওয়া হোক। তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে আর সম্ভব নয়। আমরা দু’তিন ঘণ্টা ওয়েট করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই। কিন্তু আমাদের বলা হল, হয় আপনারা বেরিয়ে যান। নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। তারপর নিজেরা গাড়়ি করে বেরিয়ে গেলেন। ওরা বলছে দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টিতে ভিজছি। আমরা আমাদের সমস্ত রকম শর্ত ছেড়ে দিলাম। তখন ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা প্রথম থেকে স্বচ্ছতার দাবি রেখেছিলাম।”