উত্তর ২৪ পরগনা: গাইঘাটা ব্লকের মণ্ডলপাড়ায় গেলে এই বাড়িটি চোখে পড়তে বাধ্য। এলাকায় বাকি বাড়িগুলোর চারপাশে যখন ৫-৬ ফুটের পাঁচিল বা তাও নেই, এই বাড়ির চারপাশে ১২ থেকে ১৪ ফুটের পাঁচিল নজর কাড়বেই। ২৭ কাঠা এলাকা, পুরোটাই ঘেরা রয়েছে পাঁচিল দিয়ে। ভিতরে উঁকি মারলে দেখা যাবে সাদা রঙের একটি বাড়ি। কে থাকেন ওই বাড়িতে? কী কাজ হয়? কেউ জানেন না। আর যাঁরা এত বছর ধরে বাড়িটা দেখে আসছেন, তাঁরা মুখ খুলতে চান না। বাড়ি ও জমির মালিকানা তাঁর নামে না থাকলেও, এলাকার প্রায় সব বাসিন্দাই জানেন এটা বালু দা-র বাড়ি।
রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে বা বেনামে ঠিক কোথায়, কত সম্পত্তি আছে, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তবে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় এই বাড়ি আলাদা করে চিনিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক বাসিন্দা জানান, তিনি শুধু শুনেছে এটা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি, কাউকে দেখেননি কখনও। আবার আর এক বাসিন্দার দাবি, কখনও কখনও মহিলারা গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেন। এর বেশি কিছু জানেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ওই জমি কেনা হয়। পরে বাড়ি তৈরি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ওই এলাকার আর কারও বাড়িতে এমন পাঁচিল নেই। অভিষেক বিশ্বাস স্মৃতিকণা বিশ্বাসের নামে রয়েছে ওই বাড়ি।
গাইঘাটা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোবিন্দ দাস জানান মন্ত্রীর জমি কেনার কথা তিনি জানতেন। তাঁকে একবার বলা হয়েছিল, বিদেশ থেকে ফান্ড আসবে ও অনাথ আশ্রম তৈরি হবে ওই বাড়িতে। কখনও আবার বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। আবার কেউ বলছেন, ওই বাড়িতে কয়েকজন মহিলার যাতায়াত ছিল, যাঁরা সেলাই-এর কাজ করতেন। কিন্তু সেই ২০১১ সাল থেকে ওই বাড়িতে কী করা হত, তা সবারই অজানা।