কলকাতা: আপাতত জেলে প্রথম রাতটা কাটিয়েছেন। ঠাঁই হয়েছে মাটিতেই। তবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। সূত্রের খবর, ইডি-কে বিভ্রান্তিকর তথ্য় দিয়েছেন বালু। বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে নেওয়া ৯ কোটি টাকা ঋণের আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন বালু। এমনটাই দাবি করছেন ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা।
নিয়ম হল, কোনও ঋণের ক্ষেত্রে আয়কর জমা দেওয়া যায় না। ‘আনসিকিওরড লোন’ অর্থাৎ কোনও ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে কেউ যদি লোন নেন, তাহলে আয়কর জমা দেওয়া যায় না। আর আয়কর বছরে কত টাকা তিনি আয় করছেন, তার ভিত্তিতে হয়।
মন্ত্রী বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে ইডি যে দাবি করছেন, তাতে কী করে তিনি ঋণ দিলেন, সেটাই প্রশ্ন। তারওপর আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করছেন, যে ৯ কোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, তা মেয়ে ও স্ত্রীর নামে আয়কর জমা দিয়েছেন। নিয়ম হল, বিনা সুদে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিলে, তা আয়কর জমা দিতে হয় না। আদৌ কি মন্ত্রী আয়কর জমা দিয়েছেন, সেটা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে আয়কর দফতরের কাছে নথি তলব করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ ঘোষাল বলেন, “এটাকে অবান্তর বললেও ভুল হবে। লোন দুরকম হয়। একটা সিকিওরড লোন, একটা আনসিকিওরড লোন। সিকিওরড লোনের ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কর ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কোনওভাবেই আয়ের অংশ নয়। তাই ঋণ কীভাবে আয়ের অংশ হতে পারে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে। যেটা কিনা মন্ত্রী আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন। ঋণের ওপর সুদের ওপর কর ছাড় থাকে। মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা পৃথিবীর কোনও দেশে এইভাবে আয়করে ছাড় হয়ে থাকতে পারে বলে আমার জানা নেই। “