কলকাতা: কসবার গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে উঠে আসছে ‘মধু’ অর্থাৎ বিঘার পর বিঘা জলাভূমির দখলের লড়াইয়ের তত্ত্ব। তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে ‘গুলি’ নিয়ে তদন্তের স্বার্থে উঠে এসেছে জমি দখলের একের পর এক তত্ত্ব। আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই কুণাল ঘোষ খাঁড়া করেছে বাম আমলের দুর্নীতির তত্ত্ব। কুণালের দাবি, কসবা-বাইপাস সংলগ্ন যা দুর্নীতি হয়েছে, তার বেশিরভাগই বাম আমলের। এবার তার পাল্টা দিতে গিয়ে নীরবতা ভাঙলের এক সময়কার ওই এলাকার তাবড় বামনেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাম আমলে কিছু দুর্নীতি হয়নি বলব না , কিন্তু আমরা রোখার চেষ্টা করতাম কিন্তু এখন বেলাগাম জমি দুর্নীতি চলছে।”
প্রসঙ্গত, বাম আমলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতের মুঠোয় ছিল কসবা-বাইপাস সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান, পুর প্রতিনিধি, মেয়র পারিষদ-সব ভূমিকাই পালন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে রায়দিঘি থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছেন। কুণালের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাম আমলে। কুণালের এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কুণাল ঘোষের অভিযোগের উত্তর দেব না । উনি বলেছেন ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাম আমলে । মিথ্যা বলেছেন।” পাল্টা তিনি প্রশ্ন করেন, “৫৫ গ্রাম খাল কোথাও উধাও হয়ে গেল, তৃণমূল জবাব দিক। রামসার সাইড বোজানো চলছে, সেটা কি চোখে পড়ছে না?”
কান্তির দাবি, “এখন তৃণমূলের আমলে বাইপাসের ধারে এক লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে । তৃণমূল আমলে জলা বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। পুরনো পঞ্চানগ্রাম খাল কোথায় গেল তৃণমূল জবাব দিক। সব দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।” তাঁর কথায়, “তৃণমূল ভবন ডাম্পিং গ্রাউন্ড এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে।”