Kasba Case: এই আইনজীবীর লড়াইয়েই ফাঁসির সাজা হয় জয়নগর-ফরাক্কা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের, সেই আইনজীবীই এবার কসবাকাণ্ডে
Kasba Case: কসবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে কলেজের মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নির্যাতিতা, সেখানে বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসাবে বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা: কসবা গণধর্ষণ মামলায় কড়া অবস্থান রাজ্য সরকারের। বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করা হল। কিন্তু কেন? সাম্প্রতিক অতীতেই দেখা গিয়েছে, জয়নগর-ফরাক্কায় ধর্ষণ খুনের মামলাতে তিনিই ছিলেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী। দুটি মামলাতেই দোষীদের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কারণেই বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ? সেই নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।
সদ্য রাজ্যে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের পরপর দুটো ঘটনায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মামলাগুলিতে সরকারি আইনজীবী ছিলেন বিভাস চট্টোপাধ্যায়। ফাঁসির পক্ষে জোর সওয়াল করেছিলেন তিনি। শেষমেশ বিচারক ফাঁসির নির্দেশ দেন। কসবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে কলেজের মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নির্যাতিতা, সেখানে বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসাবে বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবারই আলিপুর জেলা আদালতে ধৃতদের পেশ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত তিন জনের তরফ থেকে কোনও বেল পিটিশন কোর্টে করা হয়নি। তবে জামিনের আবেদন না করলেও, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরেন অভিযুক্তের আইনজীবী। এদিকে, সরকারি তরফে আইনজীবী জানান, “পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সঙ্গে ডিজিটাল এভিডেন্স…সব মিলে যাচ্ছে। নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ইনহেলার এনে তাঁকে সুস্থ করে ফের অত্যাচার করা হয়েছে। এতটাই বেপরোয়া ছিলেন মূল অভিযুক্ত।” গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল করে সরকার।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এই ঘটনায় কড়া অবস্থান করেছে রাজ্য সরকার। এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও এক জনকে। এক্ষেত্রে যাতে মূল অভিযুক্তে কড়া শাস্তি হয়, তাঁকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, তার জন্য পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।

