Kasba Case: ‘রানির মতো রাখব, আমাকে বিয়ে কর, উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে চলে অত্যাচার’, ঠিক কী হয়েছিল, এতদিনে মুখ খুললেন নির্যাতিতা
Kasba Case: নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রত্যাখ্যানের পর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে অত্যাচার করা হয়েছিল। থাপ্পড় মেরে অজ্ঞানও করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর পুরুষাঙ্গে মেরে কোনওক্রমে তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এতদিন ভয়ে তিনি মুখ খুলতে পারেননি।

কলকাতা: কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক তথ্য। এবার Tv9 বাংলায় মুখ খুললেন আরও এক নির্যাতিতা। যিনিও কিনা মূল অভিযুক্তের শিকার। তাঁর বক্তব্য, তিনি তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালে পিকনিকে বজবজের লজে তাঁকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, জিন্সের প্যান্ট টেনে খুলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। ৪০ মিনিট ঘর বন্ধ করে লাউড স্পিকার বাজিয়ে চলে তাণ্ডব। নির্যাতিতার বক্তব্য রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো।
নির্য়াতিতার আরও বক্তব্য, তাঁকে অ্যাসিড হামলার হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত। বাবা মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। নির্যাতিতার দাবি, মূল অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমাকে ও বলেছিল রানির মতো রাখব, আমায় বিয়ে কর, অ্যাডমিশন থেকেই তোকে ভাল লেগেছে।” নির্যাতিতা বলেন, “রুমে ঢুকে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আসে আমার দিকে। আমাকে থাপ্পড় মেরে অত্যাচার করা হয়। আমাকে বারবার বলেছিলাম, আমাকে যেতে দাও।”
নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রত্যাখ্যানের পর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে অত্যাচার করা হয়েছিল। থাপ্পড় মেরে অজ্ঞানও করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর পুরুষাঙ্গে মেরে কোনওক্রমে তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। এতদিন ভয়ে তিনি মুখ খুলতে পারেননি।
নির্যাতিতা বলেন, “আমাকে মূল অভিযুক্ত বলেছিল, কালীঘাটে নাকি ওর ১০ বিঘা জমি রয়েছে। কালীঘাটে ও থাকে, তখনও জানতাম না। আমাকে বলেছিল, সাত বছরের সম্পর্ক ছেড়েও আমার সঙ্গে থাকতে পারে।” তিনি বলেন, “অভিযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। ইচ্ছাও ছিল। পরেরদিন কলেজে জিডি করার কথা বলেছি, তখন অনেকে আমাকে সাবধান করেন, কারণ মূল অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী। ২০১২-২০২৩ মূল অভিযুক্তের নামে একাধিক অভিযোগ ছিল। যে অভিযোগ করত, তার নামেই গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট অশোক দেবের কাছে ফোন চলে যেত।”
মূল অভিযুক্তের সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। সূত্রের খবর, আদালতে পুলিশও জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত বেশ প্রভাবশালী। উঠে আসে ‘জ্যেঠু’ প্রসঙ্গও। যদিও বিধায়ক অশোক দেবের বক্তব্য, “ওকে চিনতাম। এর থেকে বেশি কিছু নয়। অনেকেই তো আমার কাছে যায়। চেনা দুরকমের হয়। একটা হল এমনি চিনি, আরেকটা… খুব ভালভাবে চিনি।”

