Kasba: আর্থিক সমস্যাতেই আত্মঘাতী, কসবায় বাবা-মা-ছেলের দেহ উদ্ধারে বলছেন পড়শিরাও
Kasba: তবে নীচের তলার প্রতিবেশীর কথায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত পাঁচ-সাত দিন ধরে দম্পতির মধ্যে ভীষণ অশান্তি হত। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পারতেন তাঁরা। তবে বাইরের কারোর সঙ্গেই এই বিষয়ে কোনও কথা বলতেন না তাঁরা।

কলকাতা: কসবার বাড়ি থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের বিশেষভাবে সক্ষম ছেলের দেহ উদ্ধার। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পর এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ওই পরিবারের আর্থিক সমস্যার কথা জানতে পেরেছে বলে সূত্রের খবর
তবে নীচের তলার প্রতিবেশীর কথায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত পাঁচ-সাত দিন ধরে দম্পতির মধ্যে ভীষণ অশান্তি হত। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পারতেন তাঁরা। তবে বাইরের কারোর সঙ্গেই এই বিষয়ে কোনও কথা বলতেন না তাঁরা।
স্থানীয় এক মুদি মালিকের বক্তব্য, “সাধারণ জীবনযাপনই করতেন ওই দম্পতি। অল্প অল্প করে জিনিস কিনতেন। তবে কখনও ধারবাকি রাখতেন না। যদি কখনও বিল বেড়ে যেত, তাহলেও জিনিস আবার ফেরত দিয়ে যেতেন, কিন্তু বাকি রাখতেন না ওঁরা।”
রাজডাঙা গোল্ড পার্ক এলাকায় একটি বহুতলের তৃতীয় তলায় থাকতেন সরোজিৎ ভট্টাচার্য (৭০), গার্গী ভট্টাচার্য (৬৮) এবং আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য (৩৮)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে পুলিশের কাছে খবর আসে, ওই পরিবারের দরজা সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। কেউ খোলেননি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেখা যায়, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। কাঠের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশ তিনজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

