কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হয়েছে বিনীত গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় এদিনই নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনোজ বর্মাকে। এর আগে তিনি রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)-র দায়িত্বে ছিলেন। তবে তাঁর পুলিশি জীবনেও কিন্তু উত্থান-পতনের অন্ত নেই। এই মনোজকেই পালাবদলের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ‘অফিসার অন কমপালসারি ওয়েটিংয়ে’ পাঠানো হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে পুলিশের বদলির নির্দেশ হয়েছিল সেখানে নাম ছিল এই মনোজ বর্মার। তখন যদিও তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
সূত্রের খবর, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর সেই সময়ের নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোজ বর্মার নামে সিপিএমের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর মনোজ এবং হাওড়া পুলিশ সুপার হরি কুসুমাকারকে ‘OCW’ করা হয়েছিল। মনোজের জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুরে দায়িত্ব পান প্রবীণ ত্রিপাঠি।
মনোজ বর্মা এর আগে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক পদেও কাজ করেছেন। ব্যারাকপুর যখন অশান্ত তখন সিপি পদে এই মনোজ বর্মা অনেক কাজ করেছেন। এমনকি পাহাড়ে ঝামেলার সময়েও ময়দানে ছিলেন আটানব্বই ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। বিশেষত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর্বে অশান্ত হয় ব্যারাকপুর। সেই সময় মাথা ফেটেছিল মনোজ বর্মার। জঙ্গলমহলের অস্থিরতার সময়েও দাপটের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এদিকে এদিন বিনীত গোয়েলকে সিপি-র পদ থেকে সরিয়ে এডিজি এসটিএফ পদে পাঠানো হয়েছে। যদিও আগেই তিনি এই পদে ছিলেন। ফের তাঁকে পুরনো পদেই বহাল করা হল।