কলকাতা: বড়বাজারে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire)। বড়বাজারের (Burrabazar) ১৪ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বহুতলের ১৩ তলায় একটি অফিস ঘরে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪ টি ইঞ্জিন পৌঁছে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়ে ৯ জনের। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দফতরে ওই আগুন লাগে। ওই ১৩ তলাতেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চার্ট তৈরির সার্ভার রয়েছে। ফলে সেই সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাত ১০ টা ১০ নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও যান সেখানে। উপস্থিত হন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল কর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান ফিরহাদ। ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ১২ টা ০৮ নাগাদ ফিরে যান তিনি।
স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রেলমন্ত্রী জানান, রাজ্য ও রেল একসঙ্গে কাজ করছে। চার সদস্যের এক কমিটি গঠন করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী, কমিটিতে থাকবেন রেলের চারটি ডিপার্টমেন্টের প্রধানরা। আগুন লাগার কারণ কী তা জানার জন্যে এই তদন্তের নির্দেশ।
Sincere condolences to the families of the 9 brave deceased including the 4 firefighters, 2 Railways personnel & a police ASI who have been fighting the fire at the Eastern Railways Strand road office in Kolkata.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) March 8, 2021
Sincere condolences to the families of the 9 brave deceased including the 4 firefighters, 2 Railways personnel & a police ASI who have been fighting the fire at the Eastern Railways Strand road office in Kolkata.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) March 8, 2021
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এসে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। রাত ১২ টা পেরনোর পর একের পর এক অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ বের করা হচ্ছে ওই বিল্ডিং থেকে। সাত মৃত ব্যক্তির নাম, অমিত ভাওয়াল (কলকাতা পুলিশের এএসআই), গৌরব বেজ, গিরিশ দে, বিমান পুরকায়স্থ, অনিরুদ্ধ জানা (সকলেই দমকল কর্মী), পার্থ সারথী মণ্ডল (রেল কর্মী), সঞ্জয় সাহানি।
অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৭ কর্মীর। তবে এখনও ৯ জন নিখোঁজ বলে জানান স্বরাষ্ট্র সচিব। যার মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী, একজন এএসআই, দু’জন আরপিএফ-সহ আরও দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। মোট ৯ জন নিখোঁজ বলে জানানো হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে অকুস্থল থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা। রাত ১২ টা ৮ নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে বের হন তিনি।
আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে, তবে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ছুঁয়ে ফেললেও ঘটনাস্থলে ঠায় দাড়িয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঘর্টনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কলকাতার পুলিশ কমিশনার কমিশনার সৌমেন মিত্রও উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ও একটি সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আগুন লাগার পরই রেলের কর্তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ম্যাপ চেয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যাতে আগুন নেভানোর কাজে সুবিধা হয়। তবে কেউই এখনও পর্যন্ত সেই ম্যাপ এনে দেয়নি। অভিযোগের সুরে তিনি জানিয়ে দেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে রেলের বিরুদ্ধে পরোক্ষে উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন। মমতা বলেন, “এটা রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেমন বিদ্যুতের ঝলক দেহটাকে ঝাঁঝরা করে দেয় পুড়িয়ে, তেমনই ৭ জনকে করে দিয়েছে। রেলের জায়গা এটা, সবটাই রেলেই। খোঁজ নিচ্ছিলাম তাঁদের কেউ আসেনি এখনও। এটা কিন্তু রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দমকল থেকে একটা ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। যাতে বিল্ডিংয়ে কোথায় কী আছে বোঝা যায়।”
কিন্তু, সেই ম্যাপ এখনও এসে পৌঁছয়নি বলে দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, “সেক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই আমাকে আমার সতীর্থ সুজিত বসু জানিয়েছে। যাই হোক, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। যারা নেভাতে এসেছিলেন। মোট ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। লিফট দিয়ে তাঁরা উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো দেহ পুরো ঝলসে গিয়েছে। নামগুলো এসেছে, কিন্তু চিহ্নিত না করা পর্যন্ত নাম দেওয়া হচ্ছে না। যে কর্মীরা লড়াই করে জীবন দিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও সরাকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে জায়গাটার ম্যাপও দেওয়া হয়নি। আগুন লাগতে লিফট ব্যবহার করা উচিত নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু প্রাণগুলো চলে গিয়েছে। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমিশনার বললেন আরও ২ জনের হয়ে থাকতে পারে।”
স্ট্র্যান্ড রোডের রেল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৭ ব্যক্তির মৃত্যু। পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। অনেকে আহতও হয়েছেন বলে খবর। আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী। একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। একজন রেলের আরপিএফ কর্মী। লিফটে উঠতে গিয়েই দমকল কর্মীদের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আগুন লেগেছিল ১৩ তলায়। যা ছড়াচ্ছিল দ্রুত গতিতে। কিন্তু, দমকল কর্মীরা সিঁড়ির ব্যবহার না করে লিফটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর সূত্রের। সেই লিফটেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দমকল কর্মীদের। একজন লিফট ম্যানও ছিলেন সেখানে।
ঘটনাস্থলে এসেই দমকল মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাঁচ-ছয় জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ১ জন লিফট কর্মী, দুজন রেল কর্মী ও বাকিরা দমকল কর্মী।
প্রাথমিকভাবে দমকলের পক্ষ থেকে যদিও দাবি করা হয়েছিল যে কেউ হতাহত হননি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরপর ৬ টি অ্যাম্বুলেন্স ওই বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছে। ফলে কতজন কীভাবে আহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী গুরুতর আহত হয়ে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দমকল বা রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে মুখে কুলুপ এটে রাখা হয়েছে।
কলকাতা: বড়বাজারে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire)। বড়বাজারের (Burrabazar) ১৪ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বহুতলের ১৩ তলায় একটি অফিস ঘরে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪ টি ইঞ্জিন পৌঁছে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়ে ৯ জনের। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দফতরে ওই আগুন লাগে। ওই ১৩ তলাতেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চার্ট তৈরির সার্ভার রয়েছে। ফলে সেই সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাত ১০ টা ১০ নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও যান সেখানে। উপস্থিত হন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল কর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান ফিরহাদ। ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ১২ টা ০৮ নাগাদ ফিরে যান তিনি।
স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রেলমন্ত্রী জানান, রাজ্য ও রেল একসঙ্গে কাজ করছে। চার সদস্যের এক কমিটি গঠন করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী, কমিটিতে থাকবেন রেলের চারটি ডিপার্টমেন্টের প্রধানরা। আগুন লাগার কারণ কী তা জানার জন্যে এই তদন্তের নির্দেশ।
Sincere condolences to the families of the 9 brave deceased including the 4 firefighters, 2 Railways personnel & a police ASI who have been fighting the fire at the Eastern Railways Strand road office in Kolkata.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) March 8, 2021
Sincere condolences to the families of the 9 brave deceased including the 4 firefighters, 2 Railways personnel & a police ASI who have been fighting the fire at the Eastern Railways Strand road office in Kolkata.
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) March 8, 2021
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এসে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। রাত ১২ টা পেরনোর পর একের পর এক অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ বের করা হচ্ছে ওই বিল্ডিং থেকে। সাত মৃত ব্যক্তির নাম, অমিত ভাওয়াল (কলকাতা পুলিশের এএসআই), গৌরব বেজ, গিরিশ দে, বিমান পুরকায়স্থ, অনিরুদ্ধ জানা (সকলেই দমকল কর্মী), পার্থ সারথী মণ্ডল (রেল কর্মী), সঞ্জয় সাহানি।
অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৭ কর্মীর। তবে এখনও ৯ জন নিখোঁজ বলে জানান স্বরাষ্ট্র সচিব। যার মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী, একজন এএসআই, দু’জন আরপিএফ-সহ আরও দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। মোট ৯ জন নিখোঁজ বলে জানানো হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে অকুস্থল থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা। রাত ১২ টা ৮ নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে বের হন তিনি।
আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে, তবে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ছুঁয়ে ফেললেও ঘটনাস্থলে ঠায় দাড়িয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঘর্টনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কলকাতার পুলিশ কমিশনার কমিশনার সৌমেন মিত্রও উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ও একটি সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আগুন লাগার পরই রেলের কর্তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ম্যাপ চেয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যাতে আগুন নেভানোর কাজে সুবিধা হয়। তবে কেউই এখনও পর্যন্ত সেই ম্যাপ এনে দেয়নি। অভিযোগের সুরে তিনি জানিয়ে দেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে রেলের বিরুদ্ধে পরোক্ষে উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন। মমতা বলেন, “এটা রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেমন বিদ্যুতের ঝলক দেহটাকে ঝাঁঝরা করে দেয় পুড়িয়ে, তেমনই ৭ জনকে করে দিয়েছে। রেলের জায়গা এটা, সবটাই রেলেই। খোঁজ নিচ্ছিলাম তাঁদের কেউ আসেনি এখনও। এটা কিন্তু রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দমকল থেকে একটা ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। যাতে বিল্ডিংয়ে কোথায় কী আছে বোঝা যায়।”
কিন্তু, সেই ম্যাপ এখনও এসে পৌঁছয়নি বলে দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, “সেক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই আমাকে আমার সতীর্থ সুজিত বসু জানিয়েছে। যাই হোক, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। যারা নেভাতে এসেছিলেন। মোট ৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। লিফট দিয়ে তাঁরা উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো দেহ পুরো ঝলসে গিয়েছে। নামগুলো এসেছে, কিন্তু চিহ্নিত না করা পর্যন্ত নাম দেওয়া হচ্ছে না। যে কর্মীরা লড়াই করে জীবন দিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও সরাকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। তবে জায়গাটার ম্যাপও দেওয়া হয়নি। আগুন লাগতে লিফট ব্যবহার করা উচিত নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু প্রাণগুলো চলে গিয়েছে। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমিশনার বললেন আরও ২ জনের হয়ে থাকতে পারে।”
স্ট্র্যান্ড রোডের রেল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৭ ব্যক্তির মৃত্যু। পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অগ্নিকাণ্ডে আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। অনেকে আহতও হয়েছেন বলে খবর। আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪ জন দমকল কর্মী। একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। একজন রেলের আরপিএফ কর্মী। লিফটে উঠতে গিয়েই দমকল কর্মীদের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আগুন লেগেছিল ১৩ তলায়। যা ছড়াচ্ছিল দ্রুত গতিতে। কিন্তু, দমকল কর্মীরা সিঁড়ির ব্যবহার না করে লিফটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর সূত্রের। সেই লিফটেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দমকল কর্মীদের। একজন লিফট ম্যানও ছিলেন সেখানে।
ঘটনাস্থলে এসেই দমকল মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পাঁচ-ছয় জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে ১ জন লিফট কর্মী, দুজন রেল কর্মী ও বাকিরা দমকল কর্মী।
প্রাথমিকভাবে দমকলের পক্ষ থেকে যদিও দাবি করা হয়েছিল যে কেউ হতাহত হননি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরপর ৬ টি অ্যাম্বুলেন্স ওই বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছে। ফলে কতজন কীভাবে আহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী গুরুতর আহত হয়ে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দমকল বা রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে মুখে কুলুপ এটে রাখা হয়েছে।