কলকাতা: ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত রেল-উড়ান-সড়ক-ফেরি। ভোর থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা গোটা বাংলায়। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পশ্চিমের জেলাগুলি। কুয়াশায় ঢেকেছে উত্তরের জেলাগুলিও। ২,৩৫০ কিমি দীর্ঘ কুয়াশা-করিডরে পাকিস্তান থেকে ত্রিপুরা! মরসুমে এই প্রথমবার অমৃতসর থেকে ডিব্রুগড় দৃশ্যমানতা ‘শূন্য’। অন্তত ১০.৭১ লক্ষ বর্গ কিমি অঞ্চল কুয়াশায় ঢাকা, বলছে মৌসম ভবন। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ডুয়ার্সও, দিনভর কনকনে শীত। এদিকে আলিপুরের আবহাওয়া দফতর বলছে, গত দু’দিনে কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গিয়েছে।
পৌষ সংক্রান্তির আগে তিলোত্তমার পারা বর্তমানে ঘোরাফেরা করছে ১২ ডিগ্রির আশপাশে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এদিকে রাত পোহালেই আবার মকর স্নান। তার আগে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই গঙ্গাসাগরের পথে চলেছে পুণ্যার্থীরা। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন শীতের এই দাপট দেখা যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৪ থেকে ৯৬ শতাংশ। তবে নতুন সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে ধীরে ধীরে হাওয়ার বদল হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগেই সে কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। বুধবার সকাল থেকেই দেখা মিলতে পারে মেঘলা আকাশের। তারপর থেকেই ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে মঙ্গলবার নাগাদ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়াতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে সিকিমেও বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকাগুলিতে তুষারপাতও হতে পারে।