কলকাতা : গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, মলয় পীট, রাজীব ভট্টাচার্যকে দিল্লিতে তলব ইডির। আগামী রবিবারের মধ্যে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। গরু পাচার মামলায় কয়েকদিন আগেই কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ED)। আসানসোল (Asansol) থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি হোটেলে দাঁড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গাড়ি। সূত্রের খবর, সকালের প্রাতঃরাশ করার জন্য নেমেছিলেন সেখানে। কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত একজন ব্যক্তিকে। তিনি কে? কী তাঁর পরিচয়? ঘনাতে থাকে রহস্য। পরবর্তীতে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম কৃপাময় ঘোষ। এলাকায় তিনি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
এদিকে এদিন ডাক পড়লেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যেতে পারছেন না। গরু পাচার মামলায় দোলের দিন কেষ্টকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। এরপরের রুটিন তখন থেকেই গুছিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বুধবার রাজধানীতে ডাক পড়েছিল সুকন্যার। বাবা-মেয়েকে সামনাসামনি বসিয়ে কী প্রশ্ন করা হবে সেই তালিকাও তৈরি করে ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এসব দেখেই কি পিছিয়ে গেলেন সুকন্যা? উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। এরইমধ্যে কৃপাময়দের ডাকে নতুন করে বাড়ছে চাপানউতর। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের যে কোনও দরকারে, যে কোও ছোট-বড় কাজে এগিয়ে আসতেই এই কৃপাময়। কার্যত বহু ক্ষেত্রেই ছায়াসঙ্গী হিসাবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ঘুরতেন দাদার পাশেপাশে। তবে শক্তিগড়ে প্রথম নয়, দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে তোলার সময় এই কৃপাময় ঘোষকে দেখা যায়। করতেন একটি সরকারি চাকরিও। পরবর্তীতে যদিও সেই চাকরিতে যাননি তিনি।