কলকাতা: কুণাল ঘোষ ও রাজীব কুমার। দু’জনের সম্পর্কের তিক্ততা যে এককালে কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, তা সর্বজনবিদিত। সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষ যখন চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন রাজ্যের গঠিত তদন্তকারী সিটের নেতৃত্বে ছিলেন দুঁদে আইপিএস রাজীব কুমার। এবার সেই রাজীব কুমারকে রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে বসাচ্ছে মমতার সরকার। সূত্রের খবর, বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজীব কুমারকে রাজ্যে পুলিশের ডিজি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজীব কুমার রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে আসার পরই মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। রাজীবকে ‘দক্ষ আইপিএস’ বলে প্রশংসা করলেও পরোক্ষ খোঁচা দিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা। রাজীব কুমারের উদ্দেশে কুণালের পরামর্শ, “উনি ডিজি পদে এসেছেন। নিশ্চয়ই ভাল খবর। একজন দক্ষ আইপিএস। ভাল থাকুন। ভাল করে কাজ করুন। শুধু দেখবেন, আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও না কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। তাহলে কিন্তু পরের দিনগুলি ভগবান ভাল দেন না।”
কুণাল ঘোষকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন বিভিন্ন সময়ে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দুঁদে আইপিএস রাজীবের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তিনি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়েছিল এই আইপিএস অফিসারেরও। রাজীব-কুণাল দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই। সেই রাজীব কুমার এবার আসছেন রাজ্যের ডিজিপি হয়ে।
তৃণমূল নেতা এদিন অবশ্য অকপটে স্বীকার করে নিলেন, রাজীব কুমারের সঙ্গে এককালে তাঁর দূরত্বের কথা। সঙ্গে এও জানালেন, সম্প্রতি তাঁদের দেখা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে উভয়ে উভয়ের প্রতি সৌজন্য বিনিময়ও করেছিলেন। বললেন, “রাজীব কুমার বেসিক্যালি একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার। মাঝে কিছু টানাপোড়েন গিয়েছিল। আপনারা সবাই জানেন। আমার সঙ্গেও একটি দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়, নির্দিষ্ট কিছু কারণে। কিছুকাল আগে কালীপুজোর দিন বহুদিন বাদে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ওনার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সৌজন্য বিনিময়ও হয়েছিল। উভয়েই উভয়কে বলেছি, ভাল থাকুন।”