Kunal Ghosh: সুজনপত্নীর চাকরিতে আক্রমণের অভিমুখ ঘোরাচ্ছে তৃণমূল, এবার কুণালের নিশানায় সুজনের শ্বশুর
Sujan Chakraborty: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি নিয়ে যে অভিযোগ, তা সুজনদার দিকে খুব বেশি যায় না। পরিচয়ে তিনি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কিন্তু অভিযোগ হল, শান্তিময় ভট্টাচার্যর মেয়ে মিলি ভট্টাচার্য।'
কলকাতা: সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের (Mili Bhattacharya) চাকরি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে সরব তৃণমূল শিবির। কীভাবে তাঁর চাকরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে। বোঝানোর চেষ্টা চলছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা বেনিয়মের যে অভিযোগ উঠছে, তা শুধু তৃণমূলের আমলে নয়, অতীতে বাম জমানাতেও হয়েছে। তবে এবার মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি ইস্যুতে আক্রমণের অভিযোগ ঘোরাতে শুরু করেছে তৃণমূল। এবার নিশানায় সুজন চক্রবর্তীর বদলে, তাঁর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি নিয়ে যে অভিযোগ, তা সুজনদার দিকে খুব বেশি যায় না। পরিচয়ে তিনি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কিন্তু অভিযোগ হল, শান্তিময় ভট্টাচার্যর মেয়ে মিলি ভট্টাচার্য।’
প্রসঙ্গত, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি যখন হয়েছিল সেই সময়, সুজনবাবু ও মিলি ভট্টাচার্যের বিয়ে হয়নি। সেই তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই এবার আক্রমণের অভিমুখ ঘুরে মিলি ভট্টাচার্যের প্রয়াত বাবা শান্তিময় ভট্টাচার্যের দিকে। তৃণমূল মুখপাত্রর কথায়, ‘শান্তিময় ভট্টাচার্য ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ জেলা সম্পাদক। তিনি এবং তাঁর পরিবারের ভূরি ভূরি চাকরি হয়েছে।’ আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে কুণাল ঘোষের দাবি, শান্তিময় ভট্টাচার্য আসলে দেবব্রত ভট্টাচার্য। বললেন, ‘ওনার নামই তো শান্তিময় নয়। উনি বেআইনিভাবে প্রশাসনিক জায়গায় শান্তিময় নাম ব্যবহার করেছেন। এমন কোনও আইনি নথি নেই যেখানে উনি আইনগতভাবে শান্তিময় হয়েছেন। একটি আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতে তিনি শান্তিময় নাম ব্যবহার করেন।’
কুণালের দাবি, শান্তিময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হয়েছিলেন। জাতীয় কংগ্রেস প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি সেই সময়ে এই নামের গন্ডগোল নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও করেছিল বলে দাবি তৃণমূল মুখপাত্রর। কুণালের প্রশ্ন, ‘শান্তিময় ভট্টাচার্যের আইনি অস্তিত্বের শংসাপত্র কোথায়?’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে এমন অভিযোগ এসেছে বলে জানালেন কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘আমরা এই অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি।’
মিলি ভট্টাচার্যের বাবার বিরুদ্ধে কুণালের এই অভিযোগের প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘উনি (কুণাল ঘোষ) নানান সময় নানান কথা বলেন ৷ তদন্ত করুন না ৷ ওর কথার উত্তর দেওয়ার নেই ৷ ইস্যু ডাইভার্ট করার জন্য রোজ নানান কথা বলছেন ৷’