Lalbazar: ‘পুলিশকেই ফেলে মেরেছে, ৫ জন আহত হয়েছেন’, ছবি দেখিয়ে বললেন যুগ্ম কমিশনার মিরাজ খালিদ
Lalbazar: এরপর এদিন মিছিলের একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় পুলিশের তরফে। সেই ভিডিয়ো দেখানোর পর পরবর্তীতে পুলিশের তরফে জানানো হয়,পরিস্থিতি খারাপের জন্য মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।

কলকাতা: গত শনিবার তিলোত্তমার মা-বাবা নবান্ন অভিযান ডাকে। সেই অভিযানে তিলোত্তমার মাকে মারধর করা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। পাল্টা আবার পুলিশকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযানের দু’দিন পর আজ এই নিয়ে বৈঠকে বসেন যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ, যুগ্ম কমিশনার অপরাধ রুপেশ কুমার। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্রিরা মুখোপাধ্যায়।
বৈঠক থেকে মিরাজ খালিদ বলেন, “গত ৯ তারিখ নবান্ন অভিযান হয়। ‘নবান্ন চলো’ সমাজ মাধ্যমে প্রচার চলে। পুলিশকে কোনও কিছু জানানো হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ফেসবুকে ডাক দেয় বলে জানতে পারি। এরপর ওদের ইমেল করি। সেই সময় তারা বলে আমরা আয়োজক নই। তারপরে আদালতে যায়।”
মিরাজ খালিদ এও বলেন, “পুলিশের তরফে বলা হয়, হয় সাঁতরাগাছি বা রানি-রাসমণিতে বিক্ষোভ দেখানো যেতে পারে। এটি প্রেস ব্রিফিং করেও বলা হয়।” তিনি আরও বলেন, “৯ তারিখ পুলিশ ছিল। ওখানে ৫০০ মত লোক ছিল। হঠাৎ করে রানি-রাসমণি না গিয়ে ডোরিনা গিয়ে সাউথের দিকে মিছিল যায়। সেই সময় পুলিশ বাধা দেয়। বলা হয় যে রুট তো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পার্কস্ট্রিট দিকে যেতেই থাকে। কেউ কথা শোনেনি। পুলিশকে মারধর হয়েছে। ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ডিসির গার্ড গুরুতর আহত হয়েছেন। ৬ টি কেস রেকর্ড হয়েছে।”
এরপর এদিন মিছিলের একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় পুলিশের তরফে। সেই ভিডিয়ো দেখানোর পর পরবর্তীতে পুলিশের তরফে জানানো হয়,পরিস্থিতি খারাপের জন্য মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন তিলোত্তমার মায়ের অভিযোগ নিয়ে। এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ বলেন, “আমরা চাইনি উনি আহত হন। পুলিশকে ফেলে মেরেছে খতিয়ে দেখেছি। কিন্তু কোথানও এমন দেখা যাচ্ছে না যে, পুলিশ মেরেছে। ওইখানে অনেক মিডিয়া ছিল। তাঁদের কাছে এমন কোনও ছবি বা ভিডিয়ো থাকে পুলিশ মারছে, তাহলে তা শেয়ার করতে পারেন।”

