Asansol: বাড়ির ভিতর সাক্ষাৎ যম ওৎ পেতে বসে! গোটা পাড়া ভয়ে ত্রস্ত…

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 04, 2024 | 6:21 PM

Asansol: শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে ইসমাইল মিঞা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে ধস নামে। বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে যায়। পৌঁছন আমড়াসোতা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানও। সকলে গিয়েছেন ঠিকই। তবে এরপর তিনদিন কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ কেউ করেনি বলেই এলাকার লোকজনের অভিযোগ।

Asansol: বাড়ির ভিতর সাক্ষাৎ যম ওৎ পেতে বসে! গোটা পাড়া ভয়ে ত্রস্ত...
আতঙ্কে এলাকার লোকজন।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আসানসোল: বাড়ির দেওয়ালের গায়ে বিশাল গর্ত। নামল ধস। অতিবৃষ্টির জেরে নয়া আতঙ্ক কোলিয়ারিমুলুকে। তিনদিন ধরে বিপদকে সঙ্গী করেই দিন কাটছে রানিগঞ্জের বাঁশড়া-২ শুঁড়িপাড়ার লোকজনের। অভিযোগ, ইসিএল ওই স্থান থেকে কয়লা তোলার পর খনিগর্ভ বালি ভরাট না করায় এই বিপত্তি ঘটে। এলাকার লোকজন বলছেন, বাড়ির ভিতর যেন যম ওৎ পেতে বসে আছে। সব সময় ভয় কাজ করছে।

শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে ইসমাইল মিঞা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে ধস নামে। বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে যায়। পৌঁছন আমড়াসোতা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানও। সকলে গিয়েছেন ঠিকই। তবে এরপর তিনদিন কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ কেউ করেনি বলেই এলাকার লোকজনের অভিযোগ।

এদিকে ধস ক্রমশ বাড়ছে। ফলে এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে ইসমাইলের পরিবারকে। ভয়ে পাড়ার লোকেরাও। স্থানীয় বাসিন্দা সীমা বাউড়ি বলেন, “ইসিএল থেকে লোক এসেছিল। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিকে ধসের বিপদ বাড়ছে। আমরা পুরো এলাকা ভয়ে আছি। গোটা পাড়াটাই না ধসের কবলে পড়ে, সেই ভয় এখন আমাদের।”

প্রধান থেকে ইসিএল, সকলেই পিঠ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। সকলেই একযোগে ইসিএলকে অভিযুক্ত করছেন। তিনদিনে ধসের গর্ত বাড়ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জমিধস হয়েছে। এখানে দু’ তিনটে পরিবার থাকে। সকলে ভয়ে আছেন। ইসিএল ম্যানেজমেন্টের দোষ। ইসিএলের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানান কেকেএসসির সেক্রেটারি।

স্থানীয় আমড়াসোতা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় হেমব্রম বলেন, “অনেকটা জায়গাজুড়ে উঠোনে ধস নেমেছে। মনে হয় ইসিএল কিছু করেছিল। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি ভরাট করে। তার উপর অতি বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়ে ধস নামে। খুবই আতঙ্কে আমরা। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যাতে পদক্ষেপ করে।” ইসিএলের বাঁশড়া কোলিয়ারির ম্যানেজার স্বাধীনকুমার শিট জানান, ইতিমধ্যেই ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। আপাতত ইসিএলের কোনও আবাসনে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হবে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে ধস কবলিত অংশ ভরাট করা হবে।

Next Article