Rail on Durga Puja: কালকা-রাজধানীতে টিকিটই দিতে পারছে না রেল, পুজোয় কলকাতা ছাড়তে এত ব্যস্ত বাঙালি?

Aritra Ghosh | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 13, 2023 | 10:45 AM

Rail on Durga Puja: দার্জিলিং মেল কিংবা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও একই অবস্থা। শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির টিকিট পেতে যে লম্বা লাইন, তাতেই মনে করা হচ্ছে, এবার পুজো কলকাতায় কাটাতে চাইছে না বাঙালি। পঞ্চমী-ষষ্ঠী থেকেই শুরু বিক্রি হচ্ছে টিকিট।

Rail on Durga Puja: কালকা-রাজধানীতে টিকিটই দিতে পারছে না রেল, পুজোয় কলকাতা ছাড়তে এত ব্যস্ত বাঙালি?
ফাইল ছবি
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

কলকাতা: কলকাতার পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন বহু মানুষ। রাত জেগে আকর্ষণীয় সব মণ্ডপ দর্শন করার পরিকল্পনা থাকে অনেকেরই। পুজো মানেই কলকাতার রাস্তায় জনসমুদ্র। তবে এবার পুজোয় রেলের টিকিট বিক্রির হিড়িক বলে দিচ্ছে, প্যান্ডেল হপিং-এর থেকে ছুটি কাটানোই বহু বাঙালির মূল আকর্ষণ। শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার যে ট্রেনগুলি ছাড়ছে, তাতে ওয়েটিং লিস্ট ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে রেল। কোনও কোনও ট্রেনে সেই তালিকা ২০০ বা ৩০০ ছাড়িয়েছে। স্লিপার থেকে এসি ফার্স্ট ক্লাস, সবেতেই একই অবস্থা।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে জানা গিয়েছে, সিমলা বা দার্জিলিং-এবারের পুজোয় বহু বাঙালির গন্তব্য। আবার অনেকেই টিকিটের অভাবে ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারছেন না। কৌশিক মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওয়েটিং লিস্ট থেকে মনে হচ্ছে, এবার আর কলকাতায় জনসমুদ্র দেখা যাবে না।”

২০ অক্টোবর অর্থাৎ দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর দিনই যাত্রা করতে চাইছেন বেশির ভাগ মানুষ। কালকা মেলে আর কোনও বার্থ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন কৌশিক মিত্র। মূলত সিমলা যাওয়ার জন্যই কালকা মেলে চাপতে চান যাত্রীরা। ষষ্ঠীর দিন ওই ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরায় ওয়েটিং লিস্ট ৩০০-র ওপর, স্লিপার ক্লাসে ৪০০-র বেশি ওয়েটিং লিস্ট। অন্যদিকে, শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে ওয়েটিং লিস্ট ২০০ থেকে ২৫০ পেরিয়েছে।

এছাড়াও যাত্রীর ভিড়ে উপচে পড়ার অবস্থা দার্জিলিং মেলে। দার্জিলিং যাওয়ার ওই ট্রেনের স্লিপার ক্লাসে ৩০০-র বেশি ওয়েটিং লিস্ট। সেকেন্ড ক্লাস এসি-তেও ২০০-র ওপর যাত্রী অপেক্ষমান। এছাড়া এবছর নয়া সংযোজন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ওই ষষ্ঠীর দিন চেয়ার কারের অপেক্ষমান তালিকায় ১৫০-র বেশি নাম রয়েছে। ওই সেমি বুলেট ট্রেনের এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ৮০ জনের বেশি অপেক্ষমান।

Next Article