কলকাতা: আজ মন খারাপের দশমী। ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে বিদায় উমাকে। দুর্গাবাড়ি মেট্রোপলিটনেও চলছে বরণ। মহিলারা একদিকে যেমন সিঁদুর খেলায় মেতেছেন, তেমনই প্রস্তুতি চলছে উমা বিদায়ের। উপস্থিত রয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
এ দিন মদন মিত্র বলেন, “প্রতিমা দর্শ করতে এলাম। মেয়েদের এই সিঁদুরকে সাক্ষী রেখে শপথ নিলাম ২৪ মহাযুদ্ধে একটা প্যাণ্ডেলে রাম আটকে থাকবে না, প্রতিটি প্যান্ডেলে রাম-সীতা হনুমান লক্ষ্মণ সবাই থাকবেন। এই লড়াই তৃণমূল করবে।” এখানেই শেষ নয়, তিনি নাম না করে বিজেপি তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজোকে কটাক্ষ করে বলেন, “মায়ের পুজোকে যাঁরা একটা মণ্ডপে আটকে রাখে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের। আর এটা প্যান্ডেল নয়, মন্দির। ওটা তৈরি করা হয়েছে একজনকে খুশি করার জন্য। এটা রামমন্দিরের নাম ব্যবহার করে সুযোগ নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এ বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ছিল রাম মন্দির। এই পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তবে মণ্ডপের আসাধরণ আলো, আর মণ্ডপসজ্জা দেখতে কাতারে-কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন মণ্ডপে। থিমের পুজোর লড়াইয়ে এই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থিম জোর টেক্কা দিয়েছে বড় বড় অন্য পুজোগুলিকেও। সপ্তমীর রাতে তো বাঁধ ভাঙার মত অবস্থা। এইদিন ভিড় সামলাতে তো হিমশিম খেতে হল পুলিশকেও। আসলর আগেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে লেবুতলা পার্কের অযোধ্যার রামলালার রাম। একদিকে, যখন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ড দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন জনসাধারণ সেই সময় সজল ঘোষের পুজো যে আলোচনায় থাকবে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে নাম না করে মদন মিত্র সেই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।