Madan Mitra: ‘ববি ওভারলোডেড, বিমান শুধু তৃণমূলের স্পিকার নন’, দলেরই দুই নেতাকে পাল্টা মদনের
Madan Mitra: মদন মিত্র বললেন, "দল যদি বরদাস্ত না করে, দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তার আগে তো কমিশন হবে, তদন্ত কমিটি হবে। কোনও একজন নেতার কথায় তো আর দল ব্যবস্থা নেবে না।"
কলকাতা: মহালয়ার দিনে বাবুঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে মদন মিত্র মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে। যদিও মদন বাবু সেই সময় বলেছিলেন, “ওঁরা বেঁচে থাকুক। সপরিবারে সুস্থ থাকুক। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিকভাবে যে অপমৃত্যু ঘটবে।” তবে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “দল এই ধরনের ছ্যাবলামোকে সমর্থন করে না।” বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, “পাবলিসিটি পেতে এমন কাজ করছে।” এবার ফেসবুকে রীতিমতো লাইভ করে ফিরহাদ হাকিম ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিলেন মদন মিত্র।
ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে মদনের বার্তা, “ববি, তুই আমার থেকে অনেক ছোট। তবু তোকে আমি অনুরোধ করছি, তুই খুব ভাল করে আমার স্টেটমেন্টটা পড়ে দেখ। দিলীপ বাবু যত অসভ্যতা করেছেন আজ অবধি, তার পঞ্চাশ গুণ সভ্য়তা করে আমি অন্তত ৫০ বার বলেছি, দিলীপ বাবুর পরিবারের সমৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু ও কুশল কামনা করছি। দিলীপ বাবু আপনিও ভাল থাকুন।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয় ববি ওভারলোডেড হয়ে গিয়েছে। একদিকে মন্ত্রিত্ব, একদিকে কলকাতার মেয়র, একদিকে অগ্রণীর পুজো, সারাদিন দলের পরিচালনা করা… এই মুহূর্তে ববি আমাদের দলের প্রায় মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ মানে ফিরহাদ হাকিম হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
মদন মিত্র এও স্পষ্ট করে দেন, যেটি তিনি করেছেন তিনি প্রতীকী মাত্র। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “তুই যা বলেছিস, আমি তাতে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ঠিক বলেছিস। তুই যা বলেছিস, দল বরদাস্ত করবে না। দল যদি বরদাস্ত না করে, দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তার আগে তো কমিশন হবে, তদন্ত কমিটি হবে। কোনও একজন নেতার কথায় তো আর দল ব্যবস্থা নেবে না।”
পাশাপাশি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়লেন না মদন মিত্র। বললেন, “বিধানসভার বাইরে কে কী বলছেন, সেটা বিধানসভা থেকে বলা যায় না।” বিরোধীদের থেকে যে কটূক্তি আসে, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্পিকারের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, “স্পিকার মানে আপনি তৃণমূলের স্পিকার নন, আপনি গোটা বিধানসভার স্পিকার।”