Baguiati Student Murder: মুখ ভর্তি দাঁড়ি-গোঁফ সব উধাও, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কি ভোলবদলের চেষ্টা সত্যেন্দ্রর?

Baguiati: একটি ছবি গ্রেফতারির আগে। অন্যটি গ্রেফতারির পর। দুটি ছবি পাশাপাশি রাখলেই ফারাক বোঝা যায় অনেকটা। আগে মুখে হালকা দাঁড়ি-গোঁফ ছিল, আর গ্রেফতারির পরের ছবিতে সত্যেন্দ্রর মুখে দাঁড়ি গোঁফের চিহ্নমাত্র নেই। চুলের ছাঁটও বদলে গিয়েছে অনেকটা।

Baguiati Student Murder: মুখ ভর্তি দাঁড়ি-গোঁফ সব উধাও, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কি ভোলবদলের চেষ্টা সত্যেন্দ্রর?
বাগুইআটি কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 8:29 PM

কলকাতা : সিআইডির হাতে তদন্তভার যেতেই পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে বাগুইআটি কাণ্ডের (Baguiati Student Murder) মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। ঘটনার দুই সপ্তাহ পরে ধরা পড়েছে সে। ইতিমধ্যেই তাকে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে বারাসত আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্র চৌধুরীর দুটি ছবি এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে। একটি ছবি গ্রেফতারির আগে। অন্যটি গ্রেফতারির পর। দুটি ছবি পাশাপাশি রাখলেই ফারাক বোঝা যায় অনেকটা। আগে মুখে হালকা দাঁড়ি-গোঁফ ছিল, আর গ্রেফতারির পরের ছবিতে সত্যেন্দ্রর মুখে দাঁড়ি গোঁফের চিহ্নমাত্র নেই। চুলের ছাঁটও বদলে গিয়েছে অনেকটা। অর্থাৎ, চেহারা বদলের ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হয়েছে। হঠাৎ করে দেখলে এই দুই মানুষকে মেলানো খুব একটা সহজ নয়। তাহলে কি চেহারা বদল করেই পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছিল সত্যেন্দ্র?

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাগুইআটি কাণ্ডে গ্রেফতার সত্যেন্দ্র ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র ভীষণভাবে ‘টেক-স্যাভি’ ছিল। সত্যেন্দ্রের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিল না। বার বার নিজের অবস্থান বদল করছিল সে, সিমও বদল করা হচ্ছিল। এমনকী এটিএম থেকেও দূরত্ব বজায় রাখছিল বলে জানা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নগদ টাকা ফুরিয়ে যাওয়াতেই ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে।

এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও হাওড়া স্টেশন চত্বরে এসেছিল সত্যেন্দ্র। শুধু হাওড়াই নয়, মেমারি, ডানকুনি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাঝে মধ্য়েই বাগুইআটি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই তাকে পাকড়াও করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত হাওড়া স্টেশন চত্বরে টিকিট কাটতে এসেই ধরা পড়ে সত্যেন্দ্র। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার রহস্যভেদ করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।