কলকাতা: সোমবার সকালেই রাজভবনে শপথ নিয়েছেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এছাড়া বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার অধ্যক্ষ করা হবে, তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার রাজ্যের চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকারের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, বিধানসভার চিফ হুইপ করা হচ্ছে নির্মল ঘোষকে ও ডেপুটি চিফ হুইপ হচ্ছেন তাপস রায়। এছাড়া মমতা জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার করা হচ্ছে আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্পিকার অনুমতি দিলে বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল করিম চৌধুরীকে অতিরিক্ত ডেপুটি স্পিকার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে তিনি। অন্য দিকে ভ্যাকসিন ও কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মমতা।
আর কী কী বললেন মমতা:
কোভিড সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জিএসটি নেওয়া উচিত নয়:
‘আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন ৫৫০ মেট্রিক টন। আমরা পেয়েছি ৩০০ মেট্রিক টনের কিছু বেশি। ১ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এটা তো কিছুই না, এক লক্ষ ভ্যাকসিনে মাত্র ৫০ হাজার লোককে দিতে পারব। আমাদের ৩-৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দরকার। কোভিড সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জিএসটি নেওয়া উচিত নয়। জিএসটি নিলে কর্পোরেট হাউসগুলো সাহায্য করতে পারবে না। সরকারের অনেক টাকা আছে।’
কোথা থেকে ভ্যাকসিন পাবেন ভাবুন:
‘কেন্দ্রীয় সরকার কোথা থেকে ভ্যাকসিন পাবেন একটু ভাবুন। সব ভ্যাকসিন যদি দেশের বাইরে চলে গিয়ে থাকে তাহলে, দেশের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন আনতে হবে। ভ্যাকসিন কী ভাবে আনা হবে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন। অক্সিজেন আর ভ্যাকসিন দুটি বিষয় নিয়েই ভাবতে হবে।’
লকডাউনের মতো আচরন:
‘সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে না। কিন্তু লকডাউনের মতো আচরণ করার চেষ্টা করুন। লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একেবারে লকডাউন করলে লোকে খেতে পাবে না, তাই সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সব বিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজার থেকে আনা সব্জি গরম জলে ধুতে হবে। একেকটি বাজারের দায়িত্ব নিতে হবে চেম্বারগুলোকে। অনেক চেম্বার ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে।’