Mamata Banerjee & Babul Supriyo: বাবুলের ‘হাওয়ায়’ মমতার সুর মূর্ছনা! বিশেষ উপহার পেয়ে আনন্দে আটখানা মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee & Babul Supriyo: যে মমতার গানের প্রতি অনুরাগ বাবুলকে আকৃষ্ট করেছিল, সেই মমতার সঙ্গে গানে গানে সাত সুর তুললেন আসানসোলের সাংসদ।

Mamata Banerjee & Babul Supriyo: বাবুলের 'হাওয়ায়' মমতার সুর মূর্ছনা! বিশেষ উপহার পেয়ে আনন্দে আটখানা মুখ্যমন্ত্রী
ছবি-Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 5:22 PM

কলকাতা: সেই ভিক্টোরিয়ার সামনে ঝালমুড়ি খাওয়া দিয়ে যে সম্পর্কের রসায়ন দানা বেঁধেছিল, তা যেন পূর্ণতা পেল বুধবার নজরুল মঞ্চে। তৃণমূল মুখপত্রে জাগো বাংলার শারদ সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সুরেলা মেজাজে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। পাশে ছিলেন সুর-তাল-লয়ে সিদ্ধ আরও তিনজন। বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supiyo), ইন্দ্রনীল সেন ও নচিকেতা। সেই মঞ্চে বাবুলের পাওয়া উপহারেই এ দিন সুরের মূর্ছনা তুললেন মমতা। সেই সঙ্গে বাড়তি উপহার পাওনা হিসেবে রইল মমতা-বাবুলের গানের যুগলবন্দি। বাবুল ‘ফুঁ’ দিলেন, আর মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঙুলে ‘ফুলে ফুলে দোলে দোলে’-র সুর তুললেন। যে মমতার গানের প্রতি অনুরাগ বাবুলকে আকৃষ্ট করেছিল, সেই মমতার সঙ্গে গানে গানে সাত সুর তুললেন আসানসোলের সাংসদ।

অনুষ্ঠান তখন শেষ পর্যায়ে। আচমকাই মমতার জন্য প্যাকেটে মোড়া একটা উপহার বের করে আনেন বাবুল। যা আসলে ‘পিয়ানিকা’ বা ‘মাউথ পিয়ানো’। সেই উপহার খোলার সময় মমতা বলে ওঠেন, “এই দেখো বাবুল এটা আমায় দিচ্ছে আজকে। এটা আমার খুব ফেভারিট। আমি একবার ওঁর কাছে চেয়েছিলাম এটা। ২৩ জানুয়ারির (ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মশতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে) প্রোগ্রামে দেখেছিলাম লাল রঙের একজন বাজাচ্ছিল। বাবুল আমাকে একটা নীল রঙের দিয়েছে। দারুণ দারুণ। এটা আমার কাজে লাগবে।”

প্রথমবার পিয়ানিকা হাতে পেয়ে মমতা অবশ্য ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারেননি কী ভাবে তা বাজানো হয়। বাবুলকেই প্রথমে তিনি বলেন, “তুমি বাজাও।” কিন্তু বাবুলের তরফে পালটা অনুরোধ আসে, “না দিদি আপনি বাজান।” ততক্ষণে অবশ্য পিয়ানিকায় আঙুল চালানো শুরু করে দিয়েছেন মমতা। কিন্তু আওয়াজ বেরোচ্ছে না। বেরোবেই বা কী ভাবে! পিয়ানিয়ার সঙ্গে থাকা নল মুখে নিয়ে হাওয়া দিয়ে বাজালে তবেই টুংটান ধ্বনি ওঠে। কিন্তু কেউ হাওয়া দিচ্ছিল না, তাই আওয়াজও আসছিল না।

অগত্যা পাশে থাকা আরেক সঙ্গীতশিল্পী তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলে ওঠেন, “এই বাবুল, তুমি হাওয়া দাও দিদি বাজিয়ে দেবেন।” ইন্দ্রনীলের পাশে দাঁড়িয়ে তখন মুখ্যমন্ত্রীর সুর তোলার কৌতূহলী নজরে অপেক্ষায় নচিকেতাও। তিনিও ইন্দ্রনীলের তালে তাল মিলিয়ে বলে ওঠেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ হাওয়া দাও বাবুল।” মমতাও বাদ যাননি। তিনি বলেন, “বাবুল হাওয়া দাও।” শেষ পর্যন্ত বাবুলই পিয়ানিকার নল মুখে নিয়ে ‘ফুঁ’ দিলেন, ওমনি মুখ্যমন্ত্রী আঙুলও বাজিয়ে উঠল, “ফুলে ফুলে দোলে দোলে।” প্রথমে একটু হোঁচট খেলেও এক-দু লাইন বাজিয়ে নেন তিনি। কিন্তু মুখ দিয়ে হাওয়া দেওয়া হবে না আঙুল চলবে, এই দুইয়ের মাঝে যেন কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত লাগছিল মমতাকে।

আরও পড়ুন: Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! বর্ষাসুরে মাটি হতে পারে পুজোর আনন্দ

নেত্রীর সেই দ্বিধা কাটাতেও এগিয়ে এলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোকে বাবুল বলেন, “দিদি এটা বাঁশির মতো বাজবে। এটাকেই পিয়ানিকা বলে। যেভাবে শাঁখ বাজান সেভাবে বাজালেই এটা কি-বোর্ডের মতো বাজবে।” পালটা মজার সুরে মমতার সহাস্য টিপ্পনী, “তাহলে কি একদিকে শাঁখ বাজাবো আরেকদিকে….”। সে কথা শুনে মজার ছলে হাসতে হাসতে বাবুল আবার বলে ওঠেন, “না হলে আপনি আমায় ডেকে নেবেন আমি হাওয়া দেব।” তবে শেষে মমতার অনুযোগ, “পিয়ানিকার রিড কিন্তু হারমোনিয়ামের রিডের সঙ্গে মিলছে না। আলাদা করে প্র্যাকটিস করতে হবে। বাবুল গাইবে আমি বাজিয়ে দেব।”

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে বিহার থেকে পিকে-কে তুলে এনেছেন’, কটাক্ষ শুভেন্দুর